জনি বেয়ারস্টো প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সঙ্গী রয়কে।—ছবি রয়টার্স।
বিশ্বক্রিকেটে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়ের জুটি এখন অন্যতম চর্চিত বিষয়। ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই ইংরেজ জুটির স্ট্রাইক রেট অতীতের সব নজির ছাপিয়ে গিয়েছে। বেয়ারস্টোদের আগে কোনও বিশ্বকাপে তিনটি একশো রানের জুটি নেই। আর ওয়ান ডে-র ইতিহাসে এমন অবিশ্বাস্য সাফল্য ইংল্যান্ডের কোনও ওপেনিং জুটি কখনও কোনওদিন দেখাতে পারেনি।
বুধবার ইংল্যান্ড-নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচটার কথা ধরা যাক। মন্থর উইকেটেও ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি করে ১১২ বলে ১২৩। বেয়ারস্টো তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি পান। করেন ৯৯ বলে ১০৬। আর রয় তাঁর শেষ আটটি ওয়ান ডে ইনিংসে সপ্তম হাফসেঞ্চুরি করেন (৬১ বলে ৬০)। ইংল্যান্ড যে এই ম্যাচে ৮ উইকেটে ৩০৬ করেছিল তার ভিত্তিটা গড়ে দিয়ে যায় তাদের ওপেনিং জুটিই। জবাবে নিউজ়িল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৮৬ রানে এবং ১৯৯২-এর পরে বিশ্বকাপে প্রথম বার ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে ওঠে।
জনি বেয়ারস্টো তাঁদের ওপেনিং জুটির অসাধারণ পারফরম্যান্সের কথা বলতে গিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সঙ্গী রয়ের। বলেছেন, ‘‘আমাদের দু’জনের বন্ধুত্ব আজকের না। আর শুরুর দিন থেকেই আমরা পরস্পরকে শ্রদ্ধা করি।’’ বেয়ারস্টোর আরও কথা, ‘‘হ্যাঁ, সত্যিই হালফিলে আমাদের জুটি দারুণ সফল। পনেরো বছর বয়স থেকে আমরা একসঙ্গে খেলছি। সারে বনাম ইয়র্কশায়ারের ম্যাচ হলেই আমরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতাম। তখনও দেখতাম মারার বল পেলেই দারুণ সব শট নিত ও। আর এখনও সেই একই ব্যাপার। ওর সঙ্গে খেলার সময় উইকেটের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে যা উপভোগ করি। আসলে আমরা কার্যত একই সঙ্গে বেড়ে উঠেছি। আর আমাদের একসঙ্গে খেলাটাও অনেক দিন হয়ে গেল।’’
জেসন রয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে ওর খেলা দেখে যাওয়াটা ভীষণ মজার একটা অভিজ্ঞতা। ও থাকলে যেন আমার নিজের কোনও চাপই থাকে না। সবচেয়ে বড় কথা, এত দিনে আমাদের বোঝাপড়াটা একটা দারুণ জায়গায় পৌঁছেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy