পাকিস্তানের সংবাদপত্রের কোলাজ।
বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান পরস্পর মুখোমুখি হয়েছে সাত বার। আর প্রতিবারই শেষ হাসি হেসেছে ভারত।
ফলাফলটা যেন ব্রাজিল বনাম জার্মানির ফুটবলের স্কোরলাইনের মতো দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে সাত গোল হজম করতে হয়েছিল ব্রাজিলকে।হলুদ জার্সিধারীরা অবশ্য সে দিন এক গোল করেছিল। ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তান একবারও হারাতে পারেনি ভারতকে।
পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘ডন’-এ ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের প্রতিবেদনের শিরোনাম, ভারত ৭ পাকিস্তান ০। ‘ডন’-এর প্রতিবেদনে পাকিস্তান দলের প্রবল সমালোচনা করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘ভাল দলের বিরুদ্ধে হারলে কারও কিছু বলার নেই। কিন্তু কয়েকটা ব্যাপার তো নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন।যেমন,দল নির্বাচন, টস জিতে কী করা উচিত ইত্যাদি।মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা উজার করে দিতে হয়। কিন্তু, সুযোগ পেয়েও ভারতের টপ স্কোরার রোহিত শর্মাকে দু’বার রান আউট করতে পারল না পাকিস্তান।” শোয়েব মালিকের নির্বাচন নিয়েও সমালোচনা করা হয়েছে সেই প্রতিবেদনে। শোয়েব মালিক হার্দিক পাণ্ড্যর প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান। ‘ডন’-এ শোয়েবের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, ‘এরকম একটা ম্যাচে পাকিস্তান নিল শোয়েব মালিককে। অথচ শোয়েব এখন নিজের সেরা সময় ফেলে এসেছে।’
আরও পড়ুন: সরফরাজের ভুল সিদ্ধান্তেই ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান, বলছেন সচিন
আরও পড়ুন:৭-০, বিরাটদের হেলায় পাক বধের নেপথ্য কারণগুলো কী
‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এর প্রথম পাতায় প্রকাশিত খবরের শিরোনাম, ‘পাকিস্তানকে হারিয়ে রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখল ভারত।’ চলতি বিশ্বকাপের শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। ‘জিও টিভি’-তে সরফরাজের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রেস কনফারেন্সে সরফরাজ বলেছেন, ভারতের কাছে লজ্জাজনক ভাবে হারের পরেও বিশ্বকাপ থেকে তিনি ছিটকে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন না। সরফরাজ ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
ম্যাঞ্চেস্টারে ইমামকে ফেরানোর পরে ভারতীয়দের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।
‘পাকিস্তান অবজারভার’-এ আবার লেখা হয়েছে, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটানা জয়ের ধারা বজায় রাখল। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল যে কারণে হেরেছিল কোহালিরা, ঠিক একই কারণেই বিশ্বকাপে ভারতের কাছে সরফরাজরা হারল।’ ম্যাঞ্চেস্টারের বল গড়ানোর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শ ছিল টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিও। সরফরাজ টস জিতলেও প্রথমে ব্যাটিং নেননি। ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান।
পাক অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ‘ডন’-এ লেখা হয়েছে, ম্যাঞ্চেস্টারের উইকেট তো এশিয়ান উইকেট ছিল। সেরকম উইকেট পেয়েও কেন প্রথমে ব্যাট নেওয়া হল না?
ভারত যে শক্তিশালী দল তা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ওয়াঘার ওপারের সংবাদপত্রে। পাকিস্তান যে এখন ক্রিকেটে নখ-দাঁত হারিয়েছে, সেটাও মেনে নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy