Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বুমরার নেতৃত্বে ভারতীয় বোলিং স্বয়ংসম্পূর্ণ: সচিন

যশপ্রীত বুমরার নেতৃত্বে এই বিশ্বকাপে ভারতের বোলিং আক্রমণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন সচিন তেন্ডুলকর। কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটারের মত, সাম্প্রতিক কালের মধ্যে ভারতের এত স্বয়ংসম্পূর্ণ বোলিং আক্রমণ দেখা যায়নি।

লিটল মাস্টারের সঙ্গে বুমরা।

লিটল মাস্টারের সঙ্গে বুমরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৯ ০৪:৩০
Share: Save:

যশপ্রীত বুমরার নেতৃত্বে এই বিশ্বকাপে ভারতের বোলিং আক্রমণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন সচিন তেন্ডুলকর। কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটারের মত, সাম্প্রতিক কালের মধ্যে ভারতের এত স্বয়ংসম্পূর্ণ বোলিং আক্রমণ দেখা যায়নি। তবে এ বারের ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণের সঙ্গে সচিন ২০০৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপ দলের তুলনা করতে চান না। ওই দু’বারই ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। দ্বিতীয়বারে ভারত চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল মুম্বইয়ে। সচিনের যুক্তি, তুলনা করা উচিত সমসাময়িক কালের ভিত্তিতে।
১৯৯২ থেকে ২০১১। এই সময়কালে সচিন দেশের হয়ে ছ’টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। খুব কাছ থেকে কপিল দেব, জাভাগল শ্রীনাথ, জ়াহির খানদের তিনি বোলিং করতে দেখেছেন। সচিনের বক্তব্য, বিভিন্ন সময় ভারতীয় বোলারদের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে খেলতে হয়েছে। তাই এই ধরনের তুলনায় তিনি বিশ্বাস করেন না।
২০০৩ ও ২০১১-র ভারতীয় বিশ্বকাপ দলের বোলিং শক্তির সঙ্গে এখনকার বোলারদের তুলনা করতে বলা হলে সচিনের মন্তব্য, ‘‘তুলনা জিনিসটা আমার পছন্দ নয়। মনে রাখবেন, আগে সম্পূর্ণ অন্য একটা সময়ের মধ্যে ক্রিকেটাররা খেলেছে। দল অন্য ধরনের ছিল। উইকেটও ছিল অন্য প্রকৃতির।’’
সচিন আরও মনে করেন, ক্রিকেটে অনেক নিয়ম বদলে যাওয়ায় বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে তুলনা করার ব্যাপারটা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। সচিনের ব্যাখ্যা, ‘‘এখন দু’বার নতুন বল নিতে হয়। ফিল্ডার সাজানোর ব্যাপারেও অনেক নতুন নিয়ম এসেছে। ১১ থেকে ৪০ ওভার চার জন ফিল্ডারকে ৩০ গজের বাইরে থাকতে হয়। শেষ ১০ ওভারে সংখ্যাটা আরও একজন বেড়ে যায়। এখন যা দাঁড়িয়েছে তাতে যেন ১০০ মিটারের স্প্রিন্টারকে ৯০ বা ৮০ মিটার দৌড়তে হচ্ছে। নিয়ম বদলের জন্যই এটা হয়েছে।’’
সচিন আরও যোগ করেছেন, ‘‘নতুন বল নিতে হওয়ায় এখন বোলারদের পক্ষে রিভার্স সুইং করানো কঠিন। তাই আমাদের এখনকার বোলিং আক্রমণের সঙ্গে একমাত্র তুলনা করা যেতে পারে এই সময়ের অন্য দলগুলির বোলারদের। তবে হ্যাঁ, শুধু এই যুগের পরিপ্রেক্ষিতে এটা ঠিক যে, এখন আমাদের বোলিং আক্রমণ খুবই ভাল।’’
এখানেই থামেননি সচিন। টেনেছেন তাঁর সময়ের ভারতীয় বোলিং আক্রমণের প্রসঙ্গও। ‘‘২০০৩ আর ২০১১ বিশ্বকাপের ভারতীয় বোলাররাও কোনও অংশে কম ছিল না। ২০০৩-এর কথাই ধরা যাক। সে বার আমাদের বোলাররা (শ্রীনাথ, জ়াহির খান, আশিস নেহরা ও হরভজন সিংহ) আমাদের ফাইনালে তুলেছিল। ২০১১-তেও ভারতীয় বোলাররা (জ়াহির, নেহরা, হরভজন, মুনাফ পটেল ও যুবরাজ) আরও ভাল বল করেছিল,’’ বলেছেন সচিন।
সচিন অবশ্য মনে করছেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার যশপ্রীত বুমরার নেতৃত্বে ভারতীয় বোলিং আক্রমণ কোনও অংশে কম যায় না। সচিন বলেছেন, ‘‘এ বারের দলের বোলিং আক্রমণের ক্ষেত্রে বড় ব্যাপার হচ্ছে, ওরা এই মুহূর্তে সেরা ছন্দে আছে। এই সময়ের মধ্যে এটাই ভারতের সবচেয়ে সম্পূর্ণ বোলিং আক্রমণ। ওয়ান ডে ক্রিকেটে বুমরা বিশ্বের এক নম্বর বোলার। বেশ কিছুদিন ধরে এই জায়গাটা ধরে রেখেছে। কঠিন সময় ওকেই আমাদের দরকার। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেওয়ার ক্ষমতা ওর আছে।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘এমন দু’জন কব্জি-স্পিনার (কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহাল) আমাদের দলে আছে, মাঝখানের ওভারগুলোয় যাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ওই সময়টায় তাই আমরা আরও উইকেট পেতে পারি। তাই সবমিলিয়ে বর্তমান সময়ের নিরিখে আমাদের এখনকার বোলিং আক্রমণ খুবই ভাল বলে আমি মনে করি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE