কুলদীপ যাদবের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত যুজবেন্দ্র চহাল। ছবি এপি।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁর সতীর্থ কুলদীপ যাদবের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত যুজবেন্দ্র চহাল। প্রত্যাশা অনুযায়ী আইপিএলে সফল হতে পারেননি কুলদীপ। শেষ কয়েকটি ম্যাচে কেকেআরের প্রথম একাদশেও সুযোগ পাননি ভারতীয় চায়নাম্যান। এমনকি নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচেও ব্যর্থ। কিন্তু মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪৭ রানে কুলদীপ তিন উইকেট পাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন তাঁর রিস্টস্পিনার সতীর্থ চহাল।
মঙ্গলবার কার্ডিফে বাংলাদেশকে ৯৫ রানে হারানোর পরে চহাল বলেছেন, ‘‘যে ভাবে কুলদীপ ছন্দে ফিরেছে, তার জন্য আমি প্রচণ্ড খুশি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বল করেছে কুলদীপ। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে আমাদের দলের জন্য এটাই বাড়তি প্রেরণা।’’ভারতের হয়ে বহু ম্যাচ একসঙ্গে খেলেছেন। তাই সতীর্থ থেকে তাঁদের সম্পর্কটা পরিণত হয়েছে বন্ধত্বে। চহাল বলছিলেন, ‘‘আমরা একে, অপরকে খুব বিশ্বাস করি। শেষ সাত-আট বছর ধরে একে অপরকে চিনি। তার উপর ভারতের হয়ে প্রচুর ম্যাচ খেলায় খুব ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছি। মাঠের বাইরেও আমাদের মধ্যে অদ্ভুত পার্টনারশিপ কাজ করে।’’ বোলিংয়ের সময়েও সমস্যায় পড়লে একে অপরকে সাহায্য করেন ভারতীয় রিস্টস্পিনার জুটি। চহালের কথায়, ‘‘ম্যাচে যে আগে বল করে, উইকেট সম্পর্কে তার একটা ধারণা তৈরি হয়ে যায়। যদি কুলদীপ আগে বল করে, তা হলে আমি ওকে জিজ্ঞাসা করে নিই উইকেট কেমন। বল ঘুরছে কি না।’’ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই বিপক্ষের সব চেয়ে বড় শক্তির বিরুদ্ধে কী ভাবে রুখে দাঁড়াবেন, তা নিয়ে আগাম আলোচনা করে নেয় ‘কুল-চা’ জুটি। এমনিতেই রিস্টস্পিনারদের হাতে অন্য বোলারদের চেয়ে বেশি বৈচিত্র থাকে। কিন্তু কী ভাবে সেটা ব্যবহার করবেন, তা নিয়েই আলোচনা করে নেন দু’জনে। লেগস্পিনারের ব্যাখ্যা, ‘‘ম্যাচের আগে ঠিক করে নিই, কোন ব্যাটসম্যানকে বেশি করে গুগলি করব, কাকে ফ্লিপারে পরাস্ত করব। যে হেতু আমাদের হাতে তিন-চার রকমের বৈচিত্র রয়েছে, তাই সব সময় চেষ্টা করি ব্যাটসম্যানকে
ধাঁধার মধ্যে রাখার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy