নিউজিল্যান্ডের জন্য বিশ্বকাপ অভিযান এখন পর্যন্ত প্রায় নিখুঁত। অবশ্য কয়েকটা বিষয় ওদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে। চাপে ওদের ব্যাটিং ভাল মনে হয়নি। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধেই তো ছ’টা উইকেট পড়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও ব্যাটসম্যানরা কোনও রকমে পাশ করল। ফাইনালে উঠলে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চিন্তাও থাকবে। তবে ওদের সব ম্যাচ ঘরে খেলার সুবিধে রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়াও দারুণ। প্রতিভা আর বৈচিত্রের মিশেলে তৈরি দলটা বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা রাখে। মিচেল স্টার্ক গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো টানা তুলে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংও খুব শক্তিশালী। একটাই দুশ্চিন্তা, টিমে হয়তো এ রকম একটা মনোভাব আছে যে, অন্য কেউ আজ দারুণ খেলে ম্যাচটা জিতিয়ে দেবে। অন্য কারও জ্বলে ওঠার আশা নয়, টিমের প্রত্যেকের কাপ জেতার চ্যালেঞ্জটা নেওয়া উচিত।
তবে গত বারের চ্যাম্পিয়নদের মতো এত ভাল ছন্দে কাউকে দেখছি না। ত্রিদেশীয় সিরিজের ছন্নছাড়া, তলানিতে আত্মবিশ্বাস থাকা দলটা বিশ্বকাপে আগ্রাসী, আত্মবিশ্বাসী ও মানসিক ভাবে তৈরি দল হিসেবে ফুটে উঠেছে। যে দল প্রত্যেকটা ম্যাচ অনায়াসে জিতেছে। বিশ্বকাপের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ ভারতেরই। ব্যাটিং বরাবরই ভারতের শক্তি। তার উপর নক আউটে খেলার আগে প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই বড় রান পেয়েছে। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক ভারতের বোলিং। প্রত্যেক বোলার টিমের সাফল্যে অবদান রাখছে। মনে হচ্ছে প্রত্যেকে জানে তাদের ভূমিকা ঠিক কী। চাপে পড়া নেই, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নেই। চ্যাম্পিয়ন টিমের মতোই ভারত খেলছে। মোহিত শর্মার পারফরম্যান্স দারুণ। বাকি বোলিং ইউনিটেও যেন উৎসাহটা ছড়িয়ে দিচ্ছে মোহিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy