Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

অশ্বিন সুস্থ থাকলে খেলুক একই দল

ট্রেন্ট ব্রিজ জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডদের পছন্দের মাঠ হলে কী হবে, উল্টে ভারতীয় পেসাররাই ওদের চাপে ফেলে দেন। যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ড্য ও ইশান্ত শর্মারা এত নিখুঁত লেংথে বোলিং করেন যে, বেশির ভাগ বলই ব্যাটের কাছে গিয়ে পড়ছিল। বুমরার ফিট হয়ে মাঠে নামাটা দলের ওপর খুব প্রভাব ফেলে। বুমরা বুঝিয়ে দিলেন যে, ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে বল ভিতরে ঢোকাতে পারলে তুমি সব সময়ই তাদের কাছে বিপজ্জনক।

আলোচনার কেন্দ্রে অশ্বিন।ছবি এপি

আলোচনার কেন্দ্রে অশ্বিন।ছবি এপি

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৪৩
Share: Save:

ট্রেন্ট ব্রিজে ভারতের অসাধারণ জয়ের ফলে টেস্ট সিরিজ রীতিমতো জমে উঠেছে। ভারত যে ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে এখন সিরিজ যে কেউ জিততে পারে। এত দিন ভারত চাপে ছিল। কিন্তু ট্রেন্ট ব্রিজে টেস্টের পর থেকে ইংল্যান্ডই বরং চাপে পড়ে গিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মানসিকতাই এই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রধান কারণ। বিরাট কোহালি ও তাঁর দলের এই মানসিকতার বদলের কথা জো রুটরা আন্দাজ করতে পারেননি বলেই ওরা জোর ধাক্কা খেয়ে যান। এই চাপটাই এখন বজায় রাখতে হবে ভারতকে। সিরিজের একটা নাটকীয় পরিণতি দেখতে পাচ্ছি আমি।

ট্রেন্ট ব্রিজ জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডদের পছন্দের মাঠ হলে কী হবে, উল্টে ভারতীয় পেসাররাই ওদের চাপে ফেলে দেন। যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ড্য ও ইশান্ত শর্মারা এত নিখুঁত লেংথে বোলিং করেন যে, বেশির ভাগ বলই ব্যাটের কাছে গিয়ে পড়ছিল। বুমরার ফিট হয়ে মাঠে নামাটা দলের ওপর খুব প্রভাব ফেলে। বুমরা বুঝিয়ে দিলেন যে, ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে বল ভিতরে ঢোকাতে পারলে তুমি সব সময়ই তাদের কাছে বিপজ্জনক।

ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও তাঁদের আসল ফর্মে ফিরে এসেছেন এই টেস্টে। ভারতের আসল শক্তি তো ব্যাটিংই। শিখর ধওয়ন, কে এল রাহুল, চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্ক রাহানে শেষ পর্যন্ত নিজেদের আসল জায়গায় ফিরে আসেন। এ বার থেকে বিদেশে কোনও ইনিংস খেলার ক্ষেত্রে ধওয়নকে এই ইনিংসটা নিশ্চয়ই অনেক কিছু শেখাবে। একটাও বিশাল কভার ড্রাইভ ছিল না ওঁর ইনিংসে। বিদেশে টেস্টে ব্যাটিং করতে নামলে ওঁকে এ বার থেকে এই শটগুলো ভুলেই থাকতে হবে। ওঁর ব্যাক ফুটও তো খুব ভাল। আর অদম্য কোহালিকে রোখার সাধ্য তো মনে হচ্ছে কারও নেই। বিরাটের ব্যাটিং দেখে ইংল্যান্ডের অধিনায়ককেও সব সময় অবাকই হয়ে থাকতে দেখলাম।

ট্রেন্ট ব্রিজে টস হারাটা বিরাটদের পক্ষে শাপে বর হয়েছিল বলা যায়। প্রথমে ব্যাট করেই ভারত সুবিধা পায়। বিরাটের এই ব্যাপারটা নিশ্চয়ই মাথায় থাকবে। এই সিরিজে বোধহয় দু’-দু’বার প্রথমে ফিল্ডিং করার মানসিকতা নিয়ে টস করতে গিয়েছিলেন তিনি। যা আদতে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ পেলে প্রথমে ব্যাট করে নেওয়াই ভাল।

চতুর্থ টেস্টে শুধু যে ব্যাট-বলের লড়াই হবে, তা কিন্তু না। হবে স্নায়ুর ল়ড়াইও। সিরিজ হারের মুখ থেকে ফিরে এসেছেন বিরাটরা। তাই বলে আনন্দে ভেসে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। ইংল্যান্ডকে হারানো যায়, এই বিশ্বাসটা ওদের মধ্যে চলে এসেছে ঠিকই। সাউদাম্পটনেও যেন সেই বিশ্বাসটা থাকে। একবার যখন জিততে পেরেছে, তখন আরও জয় পাওয়া সম্ভব ওদের পক্ষে, এই মানসিকতাটা যেন থাকে।

অশ্বিন যদি ফিট থাকে, তা হলে প্রথম এগারোয় পরিবর্তন প্রয়োজন নেই বোধহয়। কিন্তু ইংল্যান্ডকে দল নিয়ে ভাবতে হবে। ওদের মিডল অর্ডার ভাল বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়েছে। রুট তিন নম্বরে নেমে দ্রুত আউট হয়ে গেলে খুব চাপে পড়ে যাচ্ছেন পরের ব্যাটসম্যানরা। রে জেনিংসের জায়গায় জেমস ভিন্সকে দলে আনা উচিত। অলি পোপকে নামিয়ে জনি বেয়ারস্টোকে ওপরে পাঠালেও ভাল। মইন আলিকেও প্রথম এগারোয় রাখা দরকার।

(গেমপ্ল্যান)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE