প্রস্তুতি: কুয়ালা লামপুরে ভারতীয় দলের অনুশীলন। টুইটার
আগামী বছর পেরুতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের রাস্তায় ভারতের কাঁটা শুধু দক্ষিণ কোরিয়া নয়। দুরন্ত ফর্মে থাকা ডিফেন্ডার বিকাশ উমনামের না থাকাও।
অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ‘সি’ গ্রুপ থেকে একমাত্র ভারতই কোনও গোল না খেয়ে শেষ আটে উঠেছে। নেপথ্যে ডিফেন্ডারদের দুরন্ত পারফরম্যান্স। অথচ কার্ড সমস্যায় ছিটকে যাওয়ায় সোমবার শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সেরা ডিফেন্ডার বিকাশকে ছাড়াই দল নামাতে হবে কোচ বিবিয়ানো ফার্নান্দেসকে।
কুয়ালা লামপুরে এ বারের প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ কোরিয়াকেই সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। গ্রুপ লিগে তিন ম্যাচে মোট ১২ গোল করেছে তারা। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ৩-০। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে চূর্ণ করেছে ৭-০ গোলে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় ভারত এখনও পর্যন্ত মাত্র একটিই গোল করেছে। প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনামকে ১-০ হারিয়েছিল বিক্রম প্রতাপ সিংহরা। পরের দু’টো ম্যাচ ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে অনূর্ধ্ব-১৬ ভারতীয় দল। এই পরিস্থিতিতে বিকাশের ছিটকে যাওয়া বড় ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে নির্লিপ্ত বিবিয়ানো। তাঁর যুক্তি, কান্নাকাটি করে লাভ নেই। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে বিকাশের পরিবর্তে যে খেলবে, তাকে তৈরি করাই প্রধান লক্ষ্য। শনিবার সন্ধেয় অনুশীলনে সেই পরীক্ষানিরীক্ষাই সেরে নিলেন অনূর্ধ্ব-১৬ ভারতীয় দলের কোচ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, শক্তিশালী রক্ষণই দলের ভিত। সেই কারণেই আমরা শুরু থেকে রক্ষণ মজবুত করে খেলছি।’’
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও পর্যায়েই জিততে পারেনি ভারত। কুয়ালা লামপুরে কি ছবিটা বদলাবে? বিবিয়ানোর কথায়, ‘‘এই প্রতিযোগিতায় ফেভারিট দক্ষিণ কোরিয়া। ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচটাই সব চেয়ে কঠিন পরীক্ষা। প্রায় প্রত্যেকটা বিভাগেই দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলারেরা অনেক এগিয়ে রয়েছে।’’
সেরা ডিফেন্ডারের ছিটকে যাওয়া নিয়ে বিবিয়ানো চিন্তিত নন ঠিকই। কিন্তু স্ট্রাইকারদের গোল নষ্ট করার প্রবণতায় উদ্বিগ্ন। বিবিয়ানো বলছেন, ‘‘আমরা গোলের সুযোগ তৈরি করছি। কিন্তু তা সদ্ব্যবহার করতে পারিনি বলেই ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে জিততে পারিনি আমরা। এখন অনুশীলনে সেই ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ফুটবলার, কোচ থেকে দলের অন্যান্য সদস্যেরা প্রচুর পরিশ্রম করেছে। আত্মত্যাগ করেছে। সবাই জানে কোয়ার্টার ফাইনালের গুরুত্ব। এই ম্যাচটা জিতলে জীবন বদলে যাবে সকলের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy