জয়ের সরণিতে ফিরে উচ্ছ্বাস শ্রেয়সদের। ছবি: আইপিএল
দিল্লি ২১৯/৪ (২০ ওভার)
কলকাতা ১৬৪/৯ (২০ ওভার)
কেকেআরের সামনে বিশাল ২২০ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে শেষ হল নাইটদের ইনিংস। ৫৫ রানে হার কার্তিক বাহিনীর। অধিনায়ক হিসাবে শ্রেয়স আইয়ার তাঁর প্রথম ম্যাচেই সফল।
বিশাল ২২০ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই ছন্দপতন হয় কেকেআরের। পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার আগেই চার উইকেট খুঁইয়ে বসেছিল কেকেআর। ক্রিস লিন, সুনীল নারিন, রবিন উথাপ্পা, নীতীশ রানা, দীনেশ কার্তিক— ব্যর্থ সকলেই। কিছুটা লড়াই করেন শুভমন গিল(৩৭) এবং আন্দ্রে রাসেল(৪৪)। ট্রেন্ট বোল্ট, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, আবেশ খান এবং অমিত মিশ্র চার বোলারই দু’টো করে উইকেট নিয়েছেন।
আজকের এই মঞ্চটার জন্যই যেন অপেক্ষা করছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। গৌতম গম্ভীরের ছেড়ে যাওয়া জায়গায় বসেই অধিনায়কোচিত ইনিংস খেললেন শ্রেয়স। ৪০ বলে ৯৩ রানের ইনিংস উপহার দিলেন তিনি, তাও আবার কেকেআর বোলিংয়ের বিরুদ্ধে। গোটা ইনিংসে মারলেন ৩টে চার এবং ১০টা ছয়। স্ট্রাইক রেট ২৩২.৫০। দিল্লি ইনিংসের শেষ ওভারে অধিনায়কের ব্যাটে উঠল ২৯ রান। শেষে ম্যাচও জিতলেন দাপটের সঙ্গে।
শুধু শ্রেয়সই নন আজ দিল্লির প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানই খেললেন বোলার সংহারক রূপে। কোটলার মাঠে আজ ওপেন করতে নেমে শুরুতেই ঝ়ড় তোলেন কলিন মুনরো এবং পৃথ্বী শ। মুনরো ১৮ বলে ৩৩ করে ফিরলেও নিজের খেলা চালিয়ে যান পৃথ্বী। ৭টা চার, ২টো ছয় সহ ৪৪ বলে ৬২ রান করে আউট হন তিনি।
কেকেআরের কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি শ্রেয়স-পৃথ্বী। শিভম মাভি প্রথম দুই ওভারে দিয়েছিলেন ১১ রান, ৪ ওভার শেষে সেটা গিয়ে দাঁড়াল ৫৮ রানে। মার খেয়েছেন মিচেল জনসন, সুনীল নারিনও। শেষ পর্যন্ত দিল্লির ইনিংস শেষ হয় ২১৯ রানে। এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ রানও তুললেন দিল্লির ব্যাটসম্যানেরা।
নাইটদের পরের ম্যাচ বিরাট কোহালির ডেরায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy