Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
বিশ্বজয়ীর চোখে

ধোনির জন্যই অন্যদের থেকে এগিয়ে চেন্নাই

চার বছর আমি জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। যে সময়ে আমার সঙ্গে ধোনির অনেক বারই কথাবার্তা হয়েছে। সব সময় যে আমাদের দু’জনের মতের মিল হত, তা কিন্তু নয়।

কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত
শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৫২
Share: Save:

জীবনে সব কিছু সহজ সরল রাখা কতটা কঠিন? আমাদের অনেকের পক্ষেই কাজটা খুব সোজা নয়। কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কাছে ব্যাপারটা যেন জলভাত। ব্যাটসম্যান, কিপার হিসেবে ওর সাফল্য আর অধিনায়ক হিসেবে প্রচুর ট্রফি জয়ই সেই ধারণার যথার্থতা প্রমাণ করে। ধোনি ওর শক্তিটা জানে এবং যা-ই ঘটুক না কেন, নিজের পরিকল্পনা থেকে সরে না। একটা পরিষ্কার মাথা ধোনির সব চেয়ে বড় অস্ত্র।

চার বছর আমি জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। যে সময়ে আমার সঙ্গে ধোনির অনেক বারই কথাবার্তা হয়েছে। সব সময় যে আমাদের দু’জনের মতের মিল হত, তা কিন্তু নয়। কিন্তু ওর কী চাহিদা, সে সম্পর্কে দ্বিধাহীন থাকত ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংসের এই দলটা অতীতের মতো এখন আর অপ্রতিরোধ্য হয়তো নয়, কিন্তু ধোনি জানে কাকে কী ভাবে কাজে লাগাতে হয়।

একটা উদাহরণ দিই। কোনও অধিনায়ক তাঁর আগের খেলার ম্যান অব দ্য ম্যাচকে পরের ম্যাচে বাদ দেবে না। অথচ ধোনিকে দেখুন হরভজন সিংহকে কী ভাবে ব্যবহার করছে। পরিবেশ, পরিস্থিতি ঠিক না হলে হরভজনকে ও খেলাচ্ছে না। আরও একটা ব্যাপারে বাকি অধিনায়কদের থেকে এগিয়ে আছে ধোনি। খুব তাড়াতাড়ি উইনিং কম্বিনেশনটা ঠিক করে নিতে পারে ও। এমন এগারো জনকে বেছে নেয়, যারা মাঠে নেমে ম্যাচটা ঠিক জেতাতে পারবে।

আইপিএল এখন মাঝপথে চলে এসেছে। দেখে মনে হচ্ছে, চেন্নাই সুপার কিংসই হচ্ছে একমাত্র দল যারা নিজেদের প্রথম এগারোটা ঠিক করে নিতে পেরেছে। পরিস্থিতি দাবি না করলে কোনও অপ্রয়োজনীয় বদল হয় না ওদের দলে।

কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আবার দেখে মনে হচ্ছে, ভাল শুরু করার পরে ওরা একটু রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে। আন্দ্রে রাসেলের উপর নির্ভরতা বেড়েই চলেছে। যেটা কখনওই একটা ভাল দলের পক্ষে ঠিক লক্ষণ নয়। খুব বেশি পরিবর্তন, বিশেষ করে ব্যাটিং অর্ডারে, কখনওই একটা দলের পক্ষে ভাল হতে পারে না। এত দিনে প্রথম দল ঠিক করে ফেলা উচিত ছিল কেকেআরের।

পিছনে তাকালে দেখা যাবে, তারাই আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যারা প্রথম একাদশ নিয়ে খুব একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় না। শুধু আইপিএলের ক্ষেত্রেই নয়, যে কোনও বড় প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেই এই কথাটা খাটে। কেকেআর যদি আর একটা ম্যাচ হেরে যায়, তবে লিগের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়বে। নাইটরা হয়তো প্লে-অফে পৌঁছে যাবে, কিন্তু শুরুতে যে রকম দেখাচ্ছিল, সে রকমটা আর লাগছে না কলকাতাকে।

অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সিএসকে কিন্তু বাকি দলগুলোকে পিছনে ফেলে দিতে পেরেছে। ওদের সাফল্যের পিছনে একটাই কারণ। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দুর্দান্ত নেতৃত্ব। ওর নেতৃত্ব বাকিদের উদ্বুদ্ধ করে।

এই জন্য বলে না, ধোনি যা ছোঁবে তা-ই সোনা হয়ে যাবে। (টিসিএম)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE