প্রত্যয়ী: ছবি পোস্ট করে হার্দিকের টুইট, ‘‘চেন্নাই ডাকছে।’’ সোমবার।
এ বারের আইপিএলে শুরুটা দারুণ করেও শেষ ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে হেরেছে তিন বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।
অন্য দিকে, ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শেষ ম্যাচে নয় উইকেটে হারিয়ে নেট রানরেটের ভিত্তিতে এক নম্বর হয়ে লিগ পর্ব শেষ করেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দুই নম্বরে সিএসকে।
আজ, মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। যে ম্যাচের আগে হুঙ্কার ছেড়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বলছেন, ‘‘আইপিএলের শেষ দিকে ছন্দে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিযোগিতায় সব সময়েই আমরা দ্বিতীয় পর্বে জ্বলে উঠি। যে তিন বার মুম্বই খেতাব জিতেছে, সেই মরসুমে কিন্তু শেষ দিকে ছেলেরা ছন্দে থেকেছে। দেখা যাক কী হয়।’’
আইপিএলের এই এল ক্লাসিকোয় (এই নামেই মুম্বই বনাম চেন্নাই দ্বৈরথকে ডেকে থাকেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা) চেন্নাইয়ে সেই নয় বছর আগে শেষ বার মুম্বইকে হারিয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। কিন্তু এ বার ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য সুরেশ রায়নারা। সাতটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছেন তাঁরা। তবে সেটি
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই।
এ বারও দুই পর্বে চেন্নাইকে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। চেন্নাইয়ের মন্থর পিচেও গতির ঝড় তুলে জিতে ফিরেছিলেন লাসিথ মালিঙ্গারা। মঙ্গলবার সেই চেন্নাইয়ে ধোনির দল প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে ফাইনালে যাওয়ার পাশাপাশি জবাব দিতে মরিয়া। জিতলে আইপিএলে ১০০ ম্যাচ জয় হবে চেন্নাইয়ের। অন্য দিকে, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যদি রবীন্দ্র জাডেজা খেলেন, তা হলে সেটিও হবে চেন্নাইয়ের জার্সি গায়ে তাঁর শততম ম্যাচ।
তবে চেন্নাই শিবির ঘরের মাঠে মুম্বইকে হারিয়েই ফাইনালে যেতে চাইছে। আর সেই অভিযানে তাদের বড় ভরসার নাম অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। যিনি এ বারের আইপিএলে ১২ ম্যাচে ৩৬৮ রান করেছেন। যার মধ্যে তিনটি অর্ধশতরান।
মুম্বইয়ের তুরুপের তাস অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য। শেষ দিকে একাই ঘুরিয়ে দিচ্ছেন ম্যাচ। এ বারের আইপিএলে স্পিনের বিরুদ্ধে তাঁর স্ট্রাইক রেট সর্বোচ্চ। ২০৫। এ ছাড়া ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যেও হার্দিকের স্ট্রাইক রেট সর্বোচ্চ। ১৮১। মুম্বই কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে বলছেন, ‘‘হার্দিক উইকেটের চারদিকে শট খেলায় বোলারদের পক্ষে ওকে আটকানো মুশকিল হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, সিএসকে প্রথমে ব্যাটিং করলে স্কোরবোর্ডে তাদের রান তোলার যে গতি থাকছে, তা আরও বাড়ে রান তাড়া করার সময়ে। তাই টস জেতাও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে চেন্নাইয়ে।
জয়বর্ধনে অবশ্য এই বিষয়গুলিকে পাত্তা না দিয়েই বলছেন, ‘‘আগের ম্যাচে কলকাতা আমাদের বোলিং আক্রমণ আঁচ করতে পারেনি। এটাই আধুনিক ক্রিকেট। য়েখানে বিপক্ষ আগাম কিছু বুঝতে পারবে না। যেমন কেকেআরের বিরুদ্ধে মালিঙ্গা রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে বল করে উইকেট নিল।’’ কেকেআরের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে বিপজ্জনক আন্দ্রে রাসেলকে শুরুতেই রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করেই তুলে নেন মালিঙ্গা। ধোনিদের বিরুদ্ধেও সে রকম নতুন কোনও মগজাস্ত্র মাহেলা বার করেন কি না সেটাও দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy