স্বপ্নপূরণ: গ্যালারিতে জিয়াও জিয়াং এবং চাও। নিজস্ব চিত্র
রবিবাসরীয় ইডেন না কি বিকেলের গনগনে এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়াম? দর্শকের সমর্থন দেখে তা বোঝার উপায় নেই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে সামনে থেকে দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেমন সমর্থকেরা জড়ো হয়েছেন, তেমনই এ দিনের হাজির বিদেশি সমর্থকেরাও।
ধোনির ব্যাটিং নিজের চোখে দেখতে রবিবার ইডেনে এসেছিলেন চিনের দুই তরুণ সমর্থক। কলকাতায় মাদার হাউসে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দুই সপ্তাহ কাজ করছেন চেংদু শহরের চাও এবং জিয়াও জিয়াং। চাও যদিও কেকেআর জার্সি পরেই মাঠে এসেছিলেন। কিন্তু জিয়াও আদ্যোপান্ত ধোনির অন্ধ অনুগামী। চেন্নাই সুপার কিংস তারকার সাত নম্বর জার্সি পরেই মাঠে উপস্থিত।চিনে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা সে ভাবে এখনও নেই। এমনকি আইসিসি-র অ্যাসোসিয়েট দেশগুলির তালিকাতেও নেই সে দেশের নাম। কিন্তু অননুমোদিত দেশগুলির তালিকায় রয়েছে জিয়াওদের দেশ। সে দেশে খুব বেশি দিন ক্রিকেট শুরুও হয়নি। কিন্তু ২০১১ সালে ভারত দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জেতার পর থেকেই ক্রিকেটের চল না কি সে দেশে বেড়েছে। চাও বলছিলেন, ‘‘আমার এখনও মনে আছে ধোনি কী দুর্ধর্ষ ছয় মেরে ভারতকে বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছিল। সেই স্মৃতি আমার কাছে সব সময় তরতাজা।’’ সেখানই না থেমে চাও আরও বললেন, ‘‘তার পর থেকেই চিনে অদ্ভুত ভাবে ক্রিকেটের সমর্থন বেড়ে গেল। আমি বাবাকে বলেছিলাম একটা ব্যাট কিনে দিতে। কিন্তু চেংদুতে ব্যাট পাওয়া যেত না। বাবা সাংহাই থেকে ব্যাট নিয়ে এসেছিল আমার জন্য।’’
কিন্তু হঠাৎ ধোনিকে দেখার পরে কেন ক্রিকেট খেলতে শুরু করলেন চাও? তাঁর উত্তর, ‘‘ধোনিকে দেখে বুঝতে পেরেছিলাম ক্রিকেট অতটা কঠিন নয় যে রকম ভাবে দেখানো হয়। অনেক সহজ করে খেলা যেতে পারে। সেটাই আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিল। তার পর থেকে আমরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলতাম। খেলিও।’’
জিয়াও আবার বলছিলেন, ‘‘ধোনির ব্যাটিং ছাড়া আমি আর কারও খেলা দেখি না। তাই একেবারে সিএসকে জার্সি পরেই মাঠে চলে এসেছি। পরশু আবার দেশে ফিরে যাব। তার আগে প্রিয় নায়ক ধোনির খেলা ইডেনে বসে দেখে গেলাম। স্বপ্নপূরণ বলা যেতে পারে।’’
চাও জানিয়ে গেলেন, এ বার ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। কিন্তু কোন দলকে সমর্থন করবেন? চাও বলছিলেন, ‘‘ধোনির খেলা দেখতে যাব। এটা যে হেতু দেশের বিরুদ্ধে দেশের খেলা, তাই কোনও দেশকে আলাদা ভাবে সমর্থন করব না।’’
রবিবারের ক্লাব হাউসের আপার টিয়ার যেন ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের দখলে। প্রচুর সিএসকে সমর্থকদের ভিড়। তামিল সমর্থকেরা যেমন প্রিয় দলকে সমর্থন করেছেন, কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরাও একইরকম ভাবে ধোনি-ভক্ত। সল্টলেকের সেক্টর ওয়ানের বাসিন্দা সজল সেন গালে হলুদ রং লাগিয়ে এসেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy