ফের আইরিশ লাকের ভেল্কি আর তুখোর টিমগেমে বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের দাপট। শনিবার যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পাঁচ রানে জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখলেন আইরিশরা।
শেষ ওভারে জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল সাত রান। হাতে দু’উইকেট। কিন্তু অ্যালেক্স কুসাকের (৪-৩২) পেসের সামনে তিন বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবোয়ে। তার আগে এড জয়েসের (১১২) সেঞ্চুরি আর অ্যান্ডি বলবিরনির (৯৭) দাপটে ওয়ান ডে-তে তাদের সর্বোচ্চ ৩৩১-৮ তুলে ফেলে আয়ারল্যান্ড। রান তাড়া করতে নেমে এক সময় ৭৪-৪ হয়ে গেলেও ক্যাপ্টেন ব্রেন্ডন টেলরের সেঞ্চুরি (১২১) জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল জিম্বাবোয়েকে। সঙ্গে শন উইলিয়ামসের ব্যাটিং (৯৬)। যাঁদের জুটিতে পঞ্চম উইকেটে ওঠে ১৭৯ রান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
অবশ্য ভাগ্যও সঙ্গে ছিল এ দিন আয়ারল্যান্ডের। প্রথম বলেই জয়েস ফিরতে পারতেন। টিভি রিভিউয়ে বেঁচে যান। তার পর আবার ৩৪ রানে জয়েসের ক্যাচও ফস্কায়। জিম্বাবোয়ে যে সুযোগ নিতে পারলে আইরিশরা তিনশো পার করত কি না সন্দেহ। যে ‘আইরিশ লাক’ নিয়েই বিশ্বকাপের শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে প্রবল ভাবে ঢুকে পড়লেন কেভিন ও’ব্রায়েনরা। যাঁদের চার ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়াল ৬। গ্রুপ শীর্ষে ভারত (চার ম্যাচে আট), দ্বিতীয় দক্ষিণ আফ্রিকা (পাঁচ ম্যাচে ছয়) আর তৃতীয় পাকিস্তানের (পাঁচ ম্যাচে ছয়) পর পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে আইরিশরা (চার ম্যাচে ছয়)। তবে শেষ আটে যেতে হলে গ্রুপের শেষ দুই লড়াইয়ে আইরিশদের হারাতে হবে ভারত বা পাকিস্তানকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবশ্য কোয়ার্টারে ওঠার যুদ্ধে তাড়া করছে কেভিন ও’ব্রায়ানদের। ক্রিস গেইলদের শেষ ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে। যে ম্যাচে জিতলেই ক্যারিবিয়ানদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ছয়। ডারেন স্যামিরা আবার নেট রানরেটের দিক থেকেও আয়ারল্যান্ডের থেকে এগিয়ে। তাই শেষ আটে উঠতে গেলে আইরিশদের শেষ দু’ম্যাচে একটাতে অন্তত জিততেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy