Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Cricket

হতাশা বুকে নিয়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পাঠান

সব ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকেই তিনি অবসর নিচ্ছেন। তবে বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাঁকে দেখা যাবে। জম্মু-কাশ্মীরের মেন্টর হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।

অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন পাঠান। —ফাইল চিত্র।

অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন পাঠান। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:০১
Share: Save:

ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন ইরফান পাঠান। প্রায় আট বছর আগে দেশের হয়ে শেষ বার খেলতে নেমেছিলেন। তার পর খারাপ ফর্ম, চোট থাবা বসায় পাঠানের কেরিয়ারে। জাতীয় দলের দরজা আর খোলেনি বরোদার ক্রিকেটারের জন্য।

শেষের দিকে আইপিএল-ও বসে থাকতে হত ডাগ আউটে। গত মরসুমে জম্মু-কাশ্মীরের হয়ে রঞ্জিতে খেললেও তাঁর মনে প্রশ্নের ঝড় উঠেছিল, ‘‘আর খেলে কী হবে?’’ নাগাড়ে খেলে যাওয়ার মোটিভেশন আর পেতেন না ৩৫ বছরের পাঠান। তাঁর মনের খবর আর কে নিয়েছে! এক বুক হতাশা নিয়ে অবশেষে শনিবার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন বাঁ হাতি বোলার। স্টার স্পোর্টস-এর স্টুডিওয় পাঠান জানিয়ে দেন, সব ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকেই তিনি অবসর নিচ্ছেন। তবে বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাঁকে দেখা যাবে। জম্মু-কাশ্মীরের মেন্টর হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।

১৯ বছর বয়সে অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল পাঠানের। স্অযর ডনের দেশে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবোয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে পাঠান সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী (১৬টি) হয়েছিলেন। তাঁর বোলিং দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম।

আরও পড়ুন: সিএএ সমর্থন করেন? প্রশ্নের মুখে কী বললেন কোহালি...

২০০৪ সালের পাক সফর দেখেছিল অন্য এক পাঠানকে। তাঁর রামধনুর মতো বাঁকানো সুইং খেলতে বেগ পেতে হয়েছিল পাক ব্যাটসম্যানদের। ২০০৬ সালের পাক-সফরেও নজর কাড়েন পাঠান। করাচি টেস্টের প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। পিছন ফিরে তাকিয়ে পাঠান এ দিন বলেন, ‘‘পাকিস্তান সফর থেকে দারুণ স্মৃতি নিয়ে প্রতিবার দেশে ফিরেছিলাম। অনূর্ধ্ব ১৯ খেলার সময়ে প্রথম বার পাকিস্তানে গিয়েছিলাম। সেখানে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়ান টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৯টি উইকেট নিয়েছিলাম। তার মধ্যে ছিল একটি হ্যাটট্রিকও।’’

আরও পড়ুন: ইয়র্কার শেখাননি মালিঙ্গা, দাবি যশপ্রীত বুমরার

বলের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের হাতও ছিল ভাল পাঠানের। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে শতরানও হাঁকিয়েছিলেন তিনি। জাতীয় দলের কোচ গ্রেগ চ্যাপেল তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠাতেন পাঠানকে। সেই সময় থেকেই তাঁর বোলিং গ্রাফ পড়তে থাকে। ধার হারাতে থাকেন বাঁ হাতি অলরাউন্ডার।

দেশের হয়ে ২৯টি টেস্ট থেকে ১০০টি উইকেট পান পাঠান। ১২০টি ওয়ানডে-তে ১৭৩টি উইকেটের মালিক তিনি। ২৪ টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ থেকে ২৮টি উইকেট পান তিনি। টি টোয়েন্টি (২০০৭) বিশ্বজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। নিজের কেরিয়ারের দিকে পিছন ফিরে তাকিয়ে পাঠান বলেন, ‘‘আমার ক্রিকেট জার্নি শেষ। মন প্রাণ দিয়ে ক্রিকেট খেলেছি।’’

শুরুতে যে ভাবে পাঠানের কেরিয়ার হাইওয়ে দিয়ে উড়েছিল, শেষটা সে ভাবে হল না। পাঠান বলেন, ‘‘২৭-২৮ বছর বয়সে একজন ক্রিকেটারের কেরিয়ার শীর্ষে পৌঁছয়। তার পরে সেই ক্রিকেটার ৩৫ বছর পর্যন্ত খেলে যায়। ২৭ বছর বয়সেই ৩০১ টি আন্তর্জাতিক উইকেট আমার ঝুলিতে ছিল। ভেবেছিলাম ৫০০-৬০০টি উইকেট পেয়ে শেষ করব।’’ সেটা আর হল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE