Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Ishant Sharma

রোটেশন পদ্ধতিতে পেসারদের খেলানোর ধোনির সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ ইশান্ত শর্মার

৩১ বছর বয়সি ইশান্ত টেস্টে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন ২০০৭ সালে, রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে। তার পর খেলেছেন অনিল কুম্বলে, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে। এখন খেলছেন বিরাট কোহালির নেতৃত্বে।

গত কয়েক বছরে ক্রমশ ধারাল হয়ে উঠেছেন ইশান্ত। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

গত কয়েক বছরে ক্রমশ ধারাল হয়ে উঠেছেন ইশান্ত। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:২৩
Share: Save:

গত কয়েক বছরে টেস্টে বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে উন্নতির রাস্তায় থেকেছেন ইশান্ত শর্মা। হালফিল অনেক বেশি তীক্ষ্ণ দেখিয়েছে তাঁকে।

৩১ বছর বয়সি পেসার টেস্টে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন ২০০৭ সালে, রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে। তার পর খেলেছেন অনিল কুম্বলে, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে। এখন খেলছেন বিরাট কোহালির নেতৃত্বে। এখন ভারতের পেস আক্রমণ দুর্দান্ত শক্তিশালী। বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস আক্রমণের মধ্যে ধরা হচ্ছে জশপ্রীত বুমরা, ইশান্তদের। অথচ, এক সময় ভারতকে মনে করা হত স্পিনারদের দেশ।

এই বদল কী ভাবে সম্ভব হল? ইশান্ত এই প্রসঙ্গে আগে বলেছিলেন যে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে জোরে বোলাররা ধারাবাহিক ভাবে ভাল বল করতে পারেননি। কারণ, অভিজ্ঞতার অভাব ছিল। আর রোটেশন পদ্ধতির জন্যও থিতু হতে পারতেন না বোলাররা। রঞ্জি ট্রফিতে হায়দরাবাদকে দিল্লি হারানোর পরে ইশান্ত এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “দেখুন, ধোনির সময়ে আমাদের কয়েকজনের তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না। তা ছা়ড়া জোরে বোলারদের প্রচুর রোটেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হত। ফলে একটা গ্রুপ হিসেবে ধারাবাহিক থাকা যায়নি।”

আগে জোরে বোলারদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব ছিল বলেও দাবি করেছেন ইশান্ত। তাঁর মতে, “যদি জানা যায় যে তিন-চারজন জোরে বোলারের পুলে আমিও রয়েছি, তখন কমিউনিকেশনে সুবিধা হয়। আগে ছয়-সাত জন জোরে বোলার থাকত, তখন যোগাযোগের অভাব ঘটত।” ইশান্তের মতে, বিরাট কোহালি দায়িত্ব নেওয়ার সময় থেকে জোরে বোলাররা অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন। যার সুফল মিলতে থাকে। ইশান্তের কথায়, “বিরাট দায়িত্ব নেওয়ার সময় আমরা অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছিলাম।”

পরিবারের থেকে সতীর্থদের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোও কাজে আসতে থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইশান্ত বলেছেন, “বেশি খেললে ড্রেসিংরুমে বেশি সময় থাকতে হয়। ফলে পরিবারের চেয়ে বেশি সময় কাটে সতীর্থদের সঙ্গে। আলোচনাগুলোও খোলামেলা হয়ে ওঠে। ফলে, মাঠে খেলার সময়ও একে অন্যর সঙ্গ বেশি উপভোগ করা যায়।এই অনুভূতি একেবারে অন্যরকম।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE