রিওয় নীতা অম্বানী।
ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান না খেললে দেশের সেরা ফুটবল টুর্নামেন্ট আইএসএলের জনপ্রিয়তা যে বিরাট ধাক্কা খাবে সেটা মনে করছেন নীতা অম্বানী স্বয়ং। ভারত থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে দাঁড়িয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রধান উদ্যোক্তা বলছিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের অসংখ্য সমর্থক। এই দু’টো ক্লাবকে আইএসএলে কী ভাবে নেওয়া যায় সেই আলোচনা করতে ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতায় যাচ্ছি। সেখানে সবার সঙ্গে কথা বলে যা করার করব।’’ নীতার পাশে তখন দাঁড়িয়ে মুকেশ অম্বানী। তিনিও বললেন, ‘‘কলকাতার দু’টো বড় দলের কোটি কোটি সমর্থক। ওদের আইএসএলে নেওয়া দরকার।’’ হাইপ্রোফাইল শিল্পপতি দম্পতির কথাতেই পরিষ্কার, কলকাতার দুই প্রধানের কর্তারা যতই আশঙ্কায় থাকুন, তাঁদের ক্লাবের সামনে ২০১৭ আইএসএলের দরজা হয়তো খুলতে চলেছে।
নীতা অম্বানী এখানে এসেছেন ভারতীয় অলিম্পিক্স স্কোয়াডকে উদ্বুদ্ধ করাতে। রিওতেই তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে আইওসি-র সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কয়েক দিন আগে। মুকেশ অম্বানী-সহ পুরো পরিবার নিয়ে ঘুরে দেখছিলেন শ্যুটিং রেঞ্জ, হকি মাঠ। টুর্নামেন্টের প্রথম দিন ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে পদক পাওয়ার আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ফাইনাল রাউন্ডে হেরে যান জিতু রাই। সেটা দেখে বেরিয়ে নীতা বলছিলেন, ‘‘জুনিয়র লেভেল থেকে কাজ না করলে সাফল্য পাওয়া অসম্ভব। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। শুধু ফুটবলেই নয়, দেশ জুড়ে বিভিন্ন খেলায় প্রায় পাঁচ হাজার ছেলেমেয়ে নিয়ে কাজ শুরু করছি আমরা।’’ বারবার জোর দিচ্ছিলেন ভারতীয় খেলাধুলোয় তৃণমূল পর্যায় কাজ করার জন্য। অলিম্পিক্সে এসে এবং কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন দেশের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সম্ভবত বুঝে গিয়েছেন পদক পেতে কীসের উপর এবং কোথায় জোর দেওয়া জরুরি।
আইএসএলের বিভিন্ন টিমকেও ইতিমধ্যে আধুনিক পরিকাঠামো-সহ অ্যাকাডেমি গড়ে তুলতে চাপ দিতে শুরু করেছেন নীতা। ইস্ট-মোহনের অ্যাকাডেমি আছে শুনে আশ্বস্ত হলেন তিনি। বললেন, ‘‘ওদের আইএসএলে নেওয়া হলে তো তা হলে সুবিধেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy