Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ফাইনাল খেলবই, হুঙ্কার বঙ্গযোদ্ধা রণ সিংহের, হারল অভিষেকের দল

রবিবার রাতে অক্ষয়ের সেই ভাগ্যই কি তাড়া করল জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্স-এর তারকা মালিক অভিষেক বচ্চনকে?

গর্জন: অভিষেকের সামনে জিততে পারল না তাঁর দল। ছবি: পিকেএল।

গর্জন: অভিষেকের সামনে জিততে পারল না তাঁর দল। ছবি: পিকেএল।

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
মুম্বই শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪১
Share: Save:

শুরুতে এগিয়ে গিয়েও শনিবার আরব সাগর লাগোয়া সর্দার বল্লভভাই পটেল স্টেডিয়াম থেকে জিতে ফিরতে পারেননি ‘বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স’ মালিক অক্ষয়কুমার।

রবিবার রাতে অক্ষয়ের সেই ভাগ্যই কি তাড়া করল জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্স-এর তারকা মালিক অভিষেক বচ্চনকে? প্রথমার্ধের শুরুতে দাবাং দিল্লির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করলেও, ম্যাচ যত গড়াল, ততই পিছিয়ে পড়ল প্রো-কবাডি লিগে জয়পুরের দল। ম্যাচে অভিষেকের ‘পিঙ্ক প্যান্থার্স’ হেরে গেল দাবাং দিল্লির কাছে। ম্যাচের ফল দিল্লির দলটির পক্ষে ৪০-২৯। ফলে ছয় দলের ‘এ’ গ্রুপে আট ম্যাচের পরে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে রইল জুনিয়র বচ্চনের দল। অন্য দিকে, সমসংখ্যক ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে দাবাং দিল্লি।

এ দিন ম্যাচের এক ঘণ্টা আগে জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্সের ট্র্যাকশুট গায়ে চাপিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকেছিলেন অভিষেক। প্রথমে ড্রেসিংরুমে যান। তার পরে সোজা এসে বসেন ভিআইপি গ্যালারিতে তার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায়। দলকে তাতাতে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না প্রো-কবাডি লিগে বলিউড তারকা এই দল মালিকের। তাঁর দল পয়েন্ট পেলে আকাশে ছুড়ছিলেন মুষ্ঠিবদ্ধ হাত। দলের খেলোয়াড়দের নাম ধরে ডেকে উৎসাহও দিচ্ছিলেন। প্রথমার্ধে ১৬-২০ পিছিয়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধে দিল্লি একের পর এক পয়েন্ট তুলতে শুরু করলে চুপ করে বসেই খেলা দেখেন অভিষেক।

ম্যাচ শেষে দিল্লির খেলোয়াড় রাজেশ নারওয়ালকে ডেকে পাঠিয়ে পিঠ চাপড়ে দেন জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্স মালিক। রাজেশ আগে ছিলেন অভিষেকের দলেই এ বার দল বদলে তিনি দিল্লিতে। সেই রাজেশকে পিঠ চাপড়ে অভিষেক স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে বলে যান, ‘‘দল বদলালেও তুমি আমার হৃদয়েই রয়েছ। দারুণ খেললে আজ।’’

রাজেশ যখন অভিষেকের অভিনন্দন পেয়ে উৎফুল্ল, তখন অভিষেকের দলের আর এক প্রাক্তন খেলোয়াড় রণ সিংহের গলায় হুঙ্কার। যিনি এ বার দল বদলে বাংলার দল ‘বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স’-এ। রবিবার সকালে স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার সময় বঙ্গযোদ্ধাদের এই অলরাউন্ডারের আফসোস শনিবার দল মালিকের সামনে ম্যাচ হারায়। তাঁর কথায়, ‘‘হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। মিলিয়ে নেবেন আমরা এ বার ফাইনাল খেলবই।’’ পাটিয়ালার ছেলে আরও বলেন, ‘‘রক্ষণ খারাপ খেলছে না। আক্রমণে মনিন্দর সিংহের সঙ্গে আর একজন রেইডার ছন্দে থাকলেই আমাদের আটকানো কষ্টকর হয়ে যাবে।’’

বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স কোচ কেকে জগদীশও বলছেন, ‘‘বাকি আছে ১৩ ম্যাচ। তার মধ্যে আটটা জিতলেই প্রথম চারে থাকব আমরা। তার পরে ফাইনালে চিন্তা ভাবনা।’’ প্রতিযোগিতায় বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের পরবর্তী গন্তব্য আমদাবাদ। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ গুজরাত ফরচুন জায়ান্টস ও পুণেরি পল্টন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE