হুঙ্কার: সেঞ্চুরিয়নে আগ্রাসী মেজাজে জোফ্রা। এএফপি
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হঠাৎ করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার জোফ্রা আর্চার। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান আনরিখ নর্ৎজেকে পরপর দু’টো বিমার দিয়ে।
সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার, দ্বিতীয় দিনের শেষ ওভারের আগের ওভারে। আর্চারের হাত থেকে পরপর দুটো বিমার (ব্যাটসম্যানের কোমরের উপরের উচ্চতায় ফুলটস বল) বেরোয়। এর পরে ব্যাটসম্যান গিয়ে আম্পায়ারের কাছে দাবি জানান, আর্চারকে গোটা ইনিংসে আর বল না দেওয়ার জন্য। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, দুটো বিমার করার কারণে যদি নো বল ডাকা হয়, তা হলে সেই বোলার ওই ইনিংসে আর বল করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে আম্পায়ার প্রথম বলটি নো ডাকলেও দ্বিতীয় বলের ক্ষেত্রে ডাকেননি। যদিও দেখে মনে হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে লেগ আম্পায়ার পল রিফেল নো বল ডাকতে গিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আম্পায়ার নো বল ডাকার ইঙ্গিত করেও সিদ্ধান্ত বদল করেন। পরে জানা যায়, আম্পায়াররা মনে করেছেন, দ্বিতীয় বলটি ব্যাটসম্যানের কাছে পৌঁছনোর সময় কোমরের নীচের দিকে নামছিল।
আম্পায়ারদের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। দিনের শেষে অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি এবং কোচ মার্ক বাউচার গিয়ে ব্যাখ্যা চান ম্যাচ রেফারির কাছে। পরে সাংবাদিকদের ভার্নন ফিল্যান্ডার বলেন, ‘‘আপনি যদি লেগ আম্পায়ার হন, আর নো বল ডাকেন, তা হলে সেই সিদ্ধান্তে অনড় থাকা উচিত। আমি কিন্তু দেখিনি, ওই নো বলটা বাতিল করা হচ্ছে।’’ দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারের সাফ কথা, ‘‘আমরা যে খেলাটা খেলছি, সেখানে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা উদাহরণ রেখে যাওয়া উচিত। ঠিক সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতেই হবে।’’
দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল চার উইকেটে ৭২। আর্চার তুলে নিয়েছিলেন দু’উইকেট। ওই সময় আর্চারের বোলিংয়ের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে অনেকটাই সুবিধে হত দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু তা হয়নি। শনিবার বিধ্বংসী আর্চার আরও তিন উইকেট তুলে নেন। সব মিলিয়ে ১০২ রানে পাঁচ উইকেট নেন ইংল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৭২ রানে। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭৬ রান তাড়া করে তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ১২১-১। জো বার্নস খেলছেন ৭৭ রানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy