বিদায়: ওয়াটফোর্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে জন টেরি। রয়টার্স
ইংল্যান্ড ও চেলসির প্রাক্তন অধিনায়ক জন টেরি সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নিলেন। ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ডিফেন্ডারের বয়স এখন ৩৭। এই গ্রীষ্মে অ্যাস্টন ভিলা ছাড়ার পর থেকে তাঁর কোনও ক্লাব নেই। অবসরের সিদ্ধান্তের কথা টেরি ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন। তাঁর কথা, ‘‘ফুটবলার হিসেবে তেইশটি অবিশ্বাস্য বছর কাটিয়েছি। মনে হল, ফুটবল থেকে চির বিদায় নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।’’
ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে টেরি খেলেছেন ৭৮টি ম্যাচ। দু’দশক কাটানোর পরে চেলসি ছেড়ে অন্য ক্লাবে সই করেন ২০১৭ সালে। পাঁচটি করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ জয়ী দলে ছিলেন। চেলসিতে থাকার সময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছেন। সঙ্গে পাঁচ বার করে তিনি লিগ কাপ আর ইউরোপা লিগে খেলেন। বলা হয়, ‘দ্য ব্লুজ’-এর তিনি সবচেয়ে ‘অলঙ্কার’। এ’বছরের মে মাসে শেষ বার অ্যাস্টন ভিলার হয়ে তিনি চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ ফাইনাল খেলেন ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে। তবে নতুন ক্লাবের হয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি। চেলসির হয়ে যেখানে ৭০০ ম্যাচ খেলেছেন, সেখানে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে হাতে গোণা সামান্য কয়েকটি। শোনা যাচ্ছিল, অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে এক বছরের চুক্তি শেষ করে তিনি স্পার্টাক মস্কোতে যোগ দিতে পারেন। সেখানে তিনি নাকি মেডিক্যালও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে নিজের পরিবারের কথা ভেবে
সিদ্ধান্ত পাল্টান।
টেরির অবসরের খবরে চেলসি ক্লাবের পক্ষ থেকেও আলাদা করে টুইট করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘‘বাইশ বছর ব্লু-র সদস্য! পনেরোটি বড় ট্রফি জয়ী। ফুটবলের ইতিহাসে এই ইংরেজের খেলোয়াড় জীবন অসাধারণ। জন টেরি, আপনি অবসর উপভোগ করুন।’’ এ দিকে ইন্সটাগ্রামে টেরি আরও লিখেছেন, ‘‘মাত্র চোদ্দো বছর বয়সে জীবনের সেরা সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম চেলসিতে যোগ দিয়ে। ওই ক্লাবের প্রত্যেক সদস্য, বিশেষ করে ভক্তেরা আমার কতটা প্রিয় তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। শুরুর দিন থেকে ওরা পাশে ছিল। শুধু মাঠে না, মাঠের বাইরেও। আপাতত জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে ভাবতে চাই। নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতেও
আমি তৈরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy