প্রতীকী ছবি।
বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আক্রমণের পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে আকাশপথে পাকিস্তানের যোগাযোগ। আর সেই সিদ্ধান্তে ভারতীয় টেনিস মহলে ডেকে এনেছে দুঃসংবাদ।
মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ভারতের আকাশে পাকিস্তানের বিমান ওড়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার কারণে জুনিয়র ডেভিস কাপ এবং পরে ফেডারেশন কাপ টেনিস আয়োজনের সুযোগ হারানোর পথে সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থা।
জুনিয়র ডেভিস কাপ দিল্লি লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশন কমপ্লেক্সে হওয়ার কথা ছিল ৮-১৩ এপ্রিল। মোট ১৬টি অনূর্ধ্ব-১৬ ডেভিস কাপ দলের জুনিয়র ডেভিস কাপ খেলতে ভারতে আসার কথা। যার মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে। ফেড কাপ ম্যাচ হওয়ার কথা ১৫-২০ এপ্রিল। কিন্তু একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘‘কেউ জানে না এই পরিস্থিতি কত দিন থাকবে। তাই কথা উঠেছে, এই অবস্থায় ভারত থেকে প্রতিযোগিতাগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। ভারতকে ভবিষ্যতে ফের আয়োজনের সুযোগ দেওয়া হবে।’’
জানা গিয়েছে, ভারত থেকে এই প্রতিযোগিতাগুলি ব্যাঙ্ককে সরে যাওয়া প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছে। গত মাসে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে ভারত সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি লক্ষ করে প্রত্যাঘাত করে ২৬ ফেব্রুয়ারি। এর পরে পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক দলগুলিকে ভারতে পৌঁছতে গেলে অন্য আকাশপথে ঘুরে আসতে হবে। তাতে বাড়বে খরচ, সময়ও বেশি লাগবে পৌঁছতে। যেমন, কাজাখস্তানের এখন দিল্লি পৌঁছতে হলে এই পরিস্থিতিতে ৩-৪ ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে।
‘‘তাই আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থা (আইটিএফ), আয়োজক অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (এআইটিএ) এবং এশিয়ান টেনিস ফেডারেশনের (এটিএফ) মধ্যে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, এই মুহূর্তে প্রতিযোগিতাগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক,’’ জানিয়েছে সেই সূত্রটি। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘এমন নয় যে ভারতে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা রয়েছে। এখন যে রকম অস্থির সম্পর্ক চলছে তাতে সবারই মনে হয়েছে প্রতিযোগিতাগুলি ভারত থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক।’’
এ ব্যাপারে আইটিএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এক কর্তা জানান, ‘‘আয়োজক দেশ চেয়েছে বলেই প্রতিযোগিতা সরকারি ভাবে ব্যাঙ্ককে সরে যাচ্ছে।’’ এআইটিএ-র তরফে সচিব হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় আবার দাবি করেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতার জন্য অর্থ তৈরি রাখা খুব কঠিন এ দেশে। আমরা সম্প্রতি কলকাতায় ডেভিস কাপ আয়োজন করেছিলাম। এখন আমাদের হাতে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার মতো অর্থ নেই। কেন্দ্র সরকারও সাহায্য করছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy