দিনকয়েক আগে সচিন তেন্ডুলকর আর বীরেন্দ্র সহবাগের তুলনা করে তুলকালাম ফেলে দিয়েছিলেন। সেই কপিল দেব আবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন। এ বার তাঁর লক্ষ্যে দেশের দুই অধিনায়ক— মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আর বিরাট কোহলি।
জয়পুরে একটি অনুষ্ঠানে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ধোনি আর বিরাটের মধ্যে কে বেশি ভাল ক্যাপ্টেন? তাতে অননুকরণীয় কপিলের জবাব, ‘‘বাপ বাপ হোতা হ্যায় অওর বেটা বেটা হোতা হ্যায়।’’ বাবা, বাবাই হয়। ছেলে থাকে ছেলের জায়গায়। পরে অবশ্য মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেন কপিল। বলেন, ‘‘ক্যাপ্টেন কোহলিকে অনেক দূর যেতে হবে ধোনির মতো কৃতিত্বের মালিক হতে গেলে। তবে এটাও বলব যে, ব্যাটসম্যান হিসেবে কোহলি দারুণ পারফর্ম করছে। আমি নিশ্চিত দেশের অধিনায়ক হিসেবেও ও সমান সফল হবে।’’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চার টেস্টের সিরিজ শুরুর আগেও পিচ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। মুম্বই পিচ প্রস্তুতকারকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর পরে মোহালির বাইশ গজ নিয়েও অসন্তোষ দেখিয়েছেন টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রী। কপিলও মনে করছেন, সিরিজের ভাগ্য ঠিক করে দেবে পিচ। ‘‘ভারতের শক্তির কথা মাথায় রেখে যদি পিচ তৈরি করা হয়, তা হলে কোহলিরা ভাল করবে। মানে ভাল ব্যাটিং উইকেট তৈরি করতে হবে। যেখানে স্পিনাররাও সাহায্য পাবে। তবে পিচ প্রস্তুতকারকেরা যদি এমন সব উইকেট বানায় যাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সাহায্য হবে, তা হলে কিন্তু জেতা কঠিন,’’ বলেছেন কপিল। ওয়াংখেড়ে বিতর্কে শাস্ত্রীর পাশেই দাঁড়াচ্ছেন কপিল। পছন্দের পিচ না পাওয়ায় ওয়াংখেড়ে পিচ প্রস্তুতকারক সুধীর নায়েককে নাকি গালাগালি দেন শাস্ত্রী। যা নিয়ে কপিল বলে দিয়েছেন, ‘‘যা হয়েছে, তাতে আমি শাস্ত্রীকেই সমর্থন করছি। সিরিজটা তখন ২-২ ছিল। এই অবস্থায় তো ভারতেরই পছন্দের উইকেট পাওয়া উচিত। কিন্তু সেটা হয়নি। হোম টিমের অধিনায়ক যদি একটা নির্দিষ্ট ধরনের পিচ চায়, তাতে অন্যায় কিছু নেই। আমরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকা যাই তখন তো ফাস্ট আর বাউন্সি উইকেটে খেলতে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy