মুগ্ধ: বিদায়ী ম্যাচ প্রাপ্য ছিল যুবির, বলছেন কপিল। ফাইল চিত্র
তিরাশির বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক কপিল দেব মনে করেন, যুবরাজ সিংহের অবসরটা ক্রিকেট মাঠেই হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। এমনকি এক ধাপ এগিয়ে তিনি এও মন্তব্য করলেন যে, তাঁর পছন্দের সর্বকালের সেরা একাদশে অবশ্যই তিনি যুবরাজকে রাখবেন।
হরিয়ানায় কপিলের ক্রিকেট জীবনে শুরু হয়েছিল দ্রোণাচার্য কোচ দেশপ্রেম আজাদের প্রশিক্ষণে। সেখানে তাঁর সতীর্থ ছিলেন যুবরাজের বাবা প্রাক্তন পেস বোলার যোগরাজ সিংহ। বন্ধুপুত্রের অনাড়ম্বর অবসর কপিল যে একেবারেই মেনে নিতে পারেননি তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। বলেছেন, ‘‘নিজের পছন্দের দল গড়তে বসলে সব সময়ই যুবরাজ থাকবে। আমি খুব খুশি হতাম ওর অবসরটা মাঠে বর্ণময় পরিবেশে হলে। এই যে হঠাৎ করে ও ঘোষণা করল অবসর নিচ্ছে, তা দেখতে আমার খুব খারাপ লেগেছে। ওর মতো একজন ক্রিকেটারের এ ভাবে বিদায় নেওয়াটা কাম্য ছিল না।’’
২০১১-র বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাঁয়ত্রিশ বছরের যুবরাজকে নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত কপিল। উত্তরসূরি অলরাউন্ডারকে প্রশংসায় ভরিয়ে মন্তব্য করেছেন, ‘‘যে ভাবে ছেলেটা ক্রিকেটটা খেলেছে, যে মানসিকতা নিয়ে খেলেছে এবং তার পাশাপাশি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছে, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। আমি চাই, মাঠে ও যা যা করেছে, অবসরের পরে নতুন জীবনে যেন তার থেকেও বেশি সাফল্য পায়।’’
যুবরাজের মতোই ক্রিকেট মাঠে ম্যাচ খেলে অবসর নেওয়ার সুযোগ পাননি বীরেন্দ্র সহবাগ, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং গৌতম গম্ভীর। মুম্বইয়ে অবসর ঘোষণা করার সময় যুবরাজ ফাঁস করেন ভারতীয় বোর্ড তাঁর জন্য একটা বিদায়ী ম্যাচ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সঙ্গে বলা হয়েছিল, তার জন্য তাঁকে ‘ইয়ো-ইয়ো’ পরীক্ষা দিতে হবে। সেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেই একমাত্র বিদায়ী ম্যাচ হতে পারে। এ হেন ‘অসম্মানজনক’ প্রস্তাব পেয়ে যুবরাজ পরিষ্কার বলে দেন, ‘‘প্রস্তাবটা শুনে আমি বলে দিই, বিদায়ী ম্যাচের আমার দরকার নেই। সেই সঙ্গে ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা দিয়ে পাশ করি। বাকিটা আমার হাতে ছিল না।’’ যুবরাজ যাই বলুন, কপিলের মতোই অসংখ্য ভক্ত তাঁর এ ভাবে অবসর মানতে পারেননি। এমনকি এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রোহিত শর্মাও টুইট করে একই সুরে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy