করুণ নায়ার ও লোকেশ রাহুল। টেস্টে সফল, রঞ্জিতে ব্যর্থ।
এক দিনে কুড়িটা উইকেট, তিনটে ইনিংস। পাঁচ দিনের ম্যাচের ফলাফল দু’দিনের মধ্যেই!
লোকেশ রাহুল, করুণ নায়ারদের রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে নাটক থাকবে আশা করা গিয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের ডার্বি এতটা নাটকীয় ভাবে শেষ হবে, ভাবা যায়নি।
জাতীয় দলের দুই তরুণ তারকার কর্নাটককে সাত উইকেটে হারিয়ে দিল তামিলনাড়ু। হারিয়ে দিল সেই পেস আক্রমণ, যার মিলিত অভিজ্ঞতা মাত্র ৩৫টা ম্যাচের। বিশাখাপত্তনমে প্রথম দিন মাত্র ৮৮ রানে কর্নাটকের ইনিংস শেষ করে দিয়েছিলেন অশ্বিন ক্রাইস্টরা। দিনের শেষে তামিলনাড়ু ছিল ১১১-৪। এ দিন সেখান থেকে শুরু করে ১৫২ অল আউট হয়ে যায় তামিলনাড়ু। ৬৪ রানের লিড নিয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসেও চূড়ান্ত ব্যর্থ হল কর্নাটক ব্যাটিং। ১৫০ রানে শেষ হয়ে যায় তারা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরির মালিক করুণ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪ করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ১২। চেন্নাই টেস্টের আর এক তারকা লোকেশ রাহুল অবশ্য প্রথম ইনিংসের (৪) ব্যর্থতা কিছুটা পুষিয়ে নিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ৭৭ কর্নাটকের সর্বোচ্চ স্কোর। বাকিদের মধ্যে চারজন দু’অঙ্ক পেরিয়েছেন। তিনজন আউট হয়েছেন শূন্য রানে। বিশাখাপত্তনমের গ্রিন টপে সফল কৃষ্ণমূর্তি বিজ্ঞেশ (৪-৫৩), থঙ্গরাসু নটরাজন (৩-৪০) এবং ক্রাইস্ট (১-৫০)। এই তিন পেসারের দাপটে তামিলনাড়ুর সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৮৭। যা তারা তুলে ফেলে কুড়ি ওভারেরও কমে। শততম রঞ্জি ম্যাচ খেলতে নামা দীনেশ কার্তিক ৩০ বলে ৪১ করেন। যদিও একটা সময় তামিলনাড়ু ৩৫-৩ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পরে আর উইকেট পড়েনি।
২০০৩-’০৪ মরসুমের পরে এই প্রথম কর্নাটকের বিরুদ্ধে সরাসরি জয় পেল তামিলনাড়ু। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লোকেশ-করুণ মিলিত ভাবে বারো ঘণ্টারও বেশি ব্যাট করেছিলেন। সেখানে তাঁদের টিম কর্নাটক দু’ইনিংস মিলিয়ে টিকল মাত্র ৭৫.২ ওভার।
রঞ্জির অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বইয়ের (২৯৪) বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ দিনের শেষে ১৬৭-৩। গুজরাতের (২৬৩) চেয়ে ৭৯ রানে পিছিয়ে ওড়িশা (১৮৪-৮)। আর হরিয়ানার (২৫৮) বিরুদ্ধে ভাল জায়গায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মেন্টর করা ঝাড়খণ্ড। দিনের শেষে তারা ২২৮-৩। ক্রিজে আছেন বিরাট সিংহ (৮১ ব্যাটিং) এবং ইশাঙ্ক জাগ্গি (৭৭ ব্যাটিং)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy