Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ব্যাডমিন্টনে সেরা কৌশিক, ক্ষিরাঙ্কি

শনিবার দক্ষিণ কলকাতার রায়পুর ক্লাবের ইন্ডোর হলে প্রথমেই অঘটন ঘটান কৌশিক। গত দু’বারের চ্যাম্পিয়ন অরিন্তপ দাশগুপ্তকে সেমিফাইনালে ছিটকে দেন তিনি। ফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন অনির্বাণ মণ্ডল।

ছবি: এপি।

ছবি: এপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:১৪
Share: Save:

সিনিয়র রাজ্য ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের পুরুষ ও মেয়েদের বিভাগে দুই সেরার ছবিটা একেবারে উল্টো। এক জন এই নিয়ে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হলেন। তিনি, কৌশিক পাল। আর এক জন পাঁচ বার ফাইনালে ওঠার পরে প্রথম বার সেরার খেতাব পেলেন। তিনি, ক্ষিরাঙ্কি সেনগুপ্ত।

শনিবার দক্ষিণ কলকাতার রায়পুর ক্লাবের ইন্ডোর হলে প্রথমেই অঘটন ঘটান কৌশিক। গত দু’বারের চ্যাম্পিয়ন অরিন্তপ দাশগুপ্তকে সেমিফাইনালে ছিটকে দেন তিনি। ফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন অনির্বাণ মণ্ডল। সেই লড়াইয়ে কৌশিক সহজেই জেতেন ২১-৬, ২১-১৬।

মেয়েদের ফাইনালেও বিপরীত ছবি। ক্ষিরাঙ্কি কিন্তু কৌশিকের মতো সহজে জয় পাননি। তাঁকে প্রবল লড়াইয়ে ফেলে দেন প্রতিদ্বন্দ্বী সঞ্চালি দাশগুপ্ত। অবশ্য প্রথম গেম ক্ষিরাঙ্কি সহজেই দখল করে নিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় গেমে দুরন্ত ভাবে ফিরে এসেছিলেন সঞ্চালি। চূড়ান্ত গেমে শেষ পয়েন্ট পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। শেষ পর্যন্ত ক্ষিরাঙ্কি জেতেন ২১-১৫, ৯-২১, ২৩-২১।

রাজ্য সেরা হওয়ার পরে দুই চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্য কী?

৩২ বছর বয়সি কৌশিক এবং ২৮ বছর বয়সি ক্ষিরাঙ্কি দু’জনেই বলছেন আমাদের লক্ষ্য, আগামী মাসে এই ছন্দটা ধরে রেখে আঞ্চলিক টুর্নামেন্টে বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করা। আঞ্চলিক টুর্নামেন্টে ছ’টি রাজ্য লড়াই করে। অক্টোবরে সেই টুর্নামেন্ট রয়েছে ওড়িশায়। পাশাপাশি আরও একটা লক্ষ্য রয়েছে দু’জনেরই। জাতীয় পর্যায়ে যাতে বাংলা থেকে আরও খেলোয়াড় উঠে আসতে পারে তার জন্য জুনিয়রদের উৎসাহ দেওয়া।

যাদবপুরের কৌশিক বললেন, ‘‘এই নিয়ে পাঁচ বার রাজ্য সেরা হলাম। হয়তো এ বারই আমি শেষ বার এই প্রতিযোগিতায় নামলাম। জাতীয় পর্যায়ে একটা কোচিং কোর্স করছি। আমার লক্ষ্য ভবিষ্যতে কোচিং-এ আসা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জুনিয়র খেলোয়াড় ও আমাদের ছাত্রদের বলতে চাই, এই বয়সে যদি আমি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, তা হলে তোমরা পারবে না কেন?’’

হলদিয়ার মেয়ে হলেও ক্ষিরাঙ্কি ছোট থেকেই অনুশীলন করছেন রায়পুর ক্লাবে। প্রয়াত বাদল ভট্টাচার্য এবং লাল্টু গুহ তাঁর কোচ। তিনি বললেন, ‘‘সিনিয়র রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপ হোক বা র‌্যাঙ্কিং টুর্নামেন্ট, পাঁচবার ফাইনালে উঠেও হেরে গিয়েছি এর আগে। কয়েক মাস আগে একটা চাকরি পেয়েছি। সেটাই হয়তো ভাগ্য ফেরাল। এ বার চ্যাম্পিয়ন হলাম।’’

এ বার সিনিয়র রাজ্য ব্যাডমিন্টনে সত্যিই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দেরই দাপট দেখা গেল। শুধু সিঙ্গলসেই নয়, অন্য বিভাগেও। ৩৯ বছর বয়সি প্রাক্তন রাজ্য সেরা অরূপ বৈদ্যও তো চ্যাম্পিয়ন হলেন ডাবলসে তীর্থাঙ্কুর নাগ আর মিক্সড ডাবলসে মনিদীপা দে-র সঙ্গে জুটিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Badminton National Badminton Championship
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE