Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Sports News

বিনীতের গোলে অবশেষে প্রথম জয় পেল কেরল ব্লাস্টার্স

সন্দেশ ঝিঙ্গনের পা থেকে বল পেয়েছিলেন রিনো আন্তো। ডানদিক থেকে উঠে এসে বক্সের মধ্যে সেন্টার রেখেছিলেন আন্তো। ঠিক সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিকে বিনীত। ঝাঁপিয়ে হেড করে এগিয়ে দিয়েছিলেন কেরলকে।

এ বার আইএসএলে প্রথম জয় পেল কেরল। ছবি সৌজন্যে আইএসএল

এ বার আইএসএলে প্রথম জয় পেল কেরল। ছবি সৌজন্যে আইএসএল

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:৩৫
Share: Save:

কেরল ব্লাস্টার্স – ১ নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি – ০
(বিনীত ২৪)

চতুর্থ হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে, কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে, মরসুমের প্রথম জয় পেল কেরল ব্লাস্টার্স। নির্বাসন থেকে ফিরে এসে সিকে বিনীতের একমাত্র গোলে। পঞ্চম ম্যাচে প্রথম জয় পেয়ে কেরল উঠে এল সপ্তম স্থানে, ৬ পয়েন্ট পেয়ে। আর, হেরে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি নেমে গেল এক ধাপ, এখন অষ্টম স্থানে।

সন্দেশ ঝিঙ্গনের পা থেকে বল পেয়েছিলেন রিনো আন্তো। ডানদিক থেকে উঠে এসে বক্সের মধ্যে সেন্টার রেখেছিলেন আন্তো। ঠিক সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিকে বিনীত। ঝাঁপিয়ে হেড করে এগিয়ে দিয়েছিলেন কেরলকে। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে একটি ম্যাচের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন বিনীত, খেলতে পারেন নি গোয়ার বিরুদ্ধে, যে-ম্যাচে ২-৫ হেরেছিল কেরল। বিনীতের গোলে এবার জয়ের রাস্তায় ফিরে এল রেনে মিউলেন্সটিনের দল। তৃতীয়বার ম্যাচে গোল খেল না তারা, কিন্তু জিতল প্রথমবার। তাও ঘরের মাঠে তাদের ইয়েলো আর্মি এবং অন্যতম মালিক সচিন তেন্ডুলকরের সামনে।

প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা, যখন নর্থইস্টের গোলরক্ষক টিপি রেহনেশকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। পেকুসনের পাস ধরে এগোতে চেয়েছিলেন মার্ক সিফনোয়েস। রেহনেশ এগিয়ে এসেছিলেন, বক্সের বাইরে। সিফনোয়েস তাঁকে পেরিয়ে যাওয়ার সময় রেহনেশের গায়ে লেগেছিল ঠিকই। কিন্তু, তাঁর পেছনে ছিলেন নর্থ-ইস্টের দুই ডিফেন্ডার। তাই, এমন ক্ষেত্রে সরাসরি লাল কার্ড না দেখিয়ে হলুদ কার্ড দেখালে হয়ত সঙ্গত হত, মনে করেছিল নর্থইস্ট। কিন্তু সিদ্ধান্ত রেফারি জানিয়ে দিলে তা ফেরানোর উপায় নেই ফুটবলে। বাধ্য হয়েই নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের কোচ হোয়াও দে দেউস তুলে নেন হোলিচরণ নার্জারিকে, গোলরক্ষক রবি কুমারকে নামাতে।

আরও পড়ুন: রক্ষণের চিন্তা নিয়েই চার্চিল ম্যাচে নামছে ইস্টবেঙ্গল

৫৭ মিনিটে পেকুসনের পাস থেকে বল পেয়ে আগুয়ান লালরুয়াথারার শট গোলরক্ষক রবি কুমারকে পরাস্ত করেও পোস্টে লেগে ফিরে এসেছিল। দ্বিতীয় গোলে এগিয়ে যাওয়ার নিশ্চিত সুযোগ হাতছাড়া হয় কেরলের। দশজনের নর্থইস্ট রক্ষণ বারবারই সমস্যায় পড়ছিল কেরল আক্রমণে এলেই। দুই প্রান্ত থেকেই ফাটল ধরানো হচ্ছিল রক্ষণে। কিন্তু সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও ব্যবধান তখন আর বাড়াতে পারেনি সচিনের দল, নিজেদের ঘরের মাঠে। মাঝে দুপক্ষের ফুটবলাররাই মাথা গরম করছিলেন। কিন্তু রেফারি কড়া হাতেই দমন করেছিলেন বলে অপ্রীতিকর কিছু হয়নি আর।

দলের জয় দেখে খুশি দলের মালিক সচিন তেন্ডুলকর।

বিপক্ষ দশজনে খেলছে, ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে দল, কেরল বড় তাড়াতাড়িই ঝাঁপ ফেলে দিতে চেয়েছিল নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে। সেই কারণে ম্যাচের শেষ মিনিট দশেক কেরল বক্সে বারবার উঠে এসে চাপ তৈরি করেছিল নর্থ-ইস্ট এবং যে কোনও সময় গোল শোধ হতেই পারত। কিন্তু কখনও রক্ষণ কখনও বিপক্ষের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের ব্যর্থতায় সমতা ফেরাতে পারেনি নর্থ-ইস্ট। প্রথম বার চতুর্থ আইএসএল-এ খেলতে নেমে ওয়েস ব্রাউন ম্যাচের সেরা হলেন, নিজের দলের রক্ষণ জমাট রাখতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন

নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে লড়াই একঝাঁক নর্থ ইন্ডিয়ানের

বের্বাতভ চোটের কারণে খেলেননি, ইয়ান হিউমকে শুরু থেকে খেলাননি ডাচ কোচ, মাঠে নামিয়েছিলেন নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ে। পরিষ্কার ইঙ্গিত, আইএসএল-এর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল যাঁর নামে সেই হিউম এ বার ততটা সন্তুষ্ট করতে পারেননি দলের ডাচ কোচকে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE