কেরলের বিরুদ্ধে ইডেনে বাংলার আসন্ন রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে খেলবেন ভারতীয় দলের পেসার মহম্মদ শামি। যাঁকে শুক্রবার শর্তসাপেক্ষে খেলার অনুমতি দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ভারতীয় ক্রিকেটে যা নজিরবিহীন।
শুক্রবার বোর্ড রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা সিএবি-র কর্তাদের যে বার্তা পাঠায়, সেখানে বলা হয়েছে, প্রতি ইনিংসে ১৫ ওভারের বেশি বল করতে পারবেন না শামি। অর্থাৎ সারা ম্যাচে ৩০ ওভারের বেশি বোলিং করবেন না আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় টেস্ট দলের এই পেসার।
এখানেই শেষ নয়, বোর্ড নির্দেশ দিয়েছে, প্রতি দিন খেলার শেষে ভারতীয় দলের ফিজিয়ো প্যাট্রিক ফারহার্টকে শামির ফিটনেস রিপোর্ট পাঠাতে হবে বাংলা শিবির থেকে। বোর্ডের এই নজিরবিহীন শর্তসাপেক্ষ অনুমতিতেই খুশি বাংলার শিবির। তারা মনে করছে শামি ও অশোক ডিন্ডা একসঙ্গে বোলিং করলে ১৫ ওভারই যথেষ্ট। আগামী ম্যাচে ছ’পয়েন্টের লক্ষ্যে ফলদায়ক উইকেট চেয়েছে বাংলা শিবির। অর্থাৎ তাঁদের কথা শোনা হলে পেস সহায়ক উইকেট পেতে পারেন মনোজ তিওয়ারিরা। আর সত্যিই তা পেলে শামির ১৫ ওভারই যথেষ্ট বলে মনে করছে বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট।
মনোজ এ দিন দল বাছাইয়ের পরে বলেন, ‘‘ওকে ১৫ ওভারও করতে হবে বলে মনে হয় না। আমরা যে ধরনের উইকেট চেয়েছি আর শামি যে মানের পেসার, তাতে আমার মনে হয়, ও ১৫ ওভার শেষ করার আগেই যা করার করে দেবে।’’
কিন্তু ঘরের মাঠ বলে যে ধরনের উইকেট চাইছেন মনোজরা, তা কি তাঁরা পাবেন? বোর্ডের নতুন নিয়মে এখন রঞ্জি ট্রফির প্রতি ম্যাচে ভিনরাজ্যের নিরপেক্ষ কিউরেটর মাঠের বাইশ গজে তদারকি করতে আসেন। এই ম্যাচেও তা-ই হবে। নিরপেক্ষ কিউরেটর মনোজদের পছন্দের উইকেট দেবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন। এই নিয়ে মনোজ এ দিন বলেন, ‘‘এই নিয়ে কোচ, মেন্টর, সিএবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে আমাদের কিউরেটরের। ব্যবস্থা হবে।’’
বহুদিন পরে শামি ও ডিন্ডাকে একসঙ্গে পাওয়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত মনোজ বলেন, ‘‘ওদের একসঙ্গে পাচ্ছি বলেই পেস সহায়ক উইকেটে খেলতে চাইছি। কারণ, এই ধরনের পিচে শামি-ডিন্ডা একসঙ্গে খেললে এমন অনেক বলই ওদের হাত থেকে হয়তো বেরোবে, যা খেলা যায় না।’’
মঙ্গলবার থেকে এই ম্যাচে বাংলা ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণকে পাবে না। তিনি নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছেন ভারত ‘এ’ দলের খেলতে। তাঁর জায়গায় দলে এলেন পূরব জোশী। শামি এলেন শাহবাজ আহমেদের জায়গায়। ১৬ জনের দলে নেওয়া হল পেসার অমিত কুইলাকে। এই একটি ম্যাচের জন্যই দল গড়া হল। সরকারি ভাবে অধিনায়ক মনোজের মেয়াদ ফের সেই এক ম্যাচই বাড়ানো হল।
আগের দিনই বাংলা দলের মেন্টর অরুণ লাল দলের ছেলেদের ফিটনেস বাড়ানোর কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে মনোজ এ দিন বলেন, ‘‘গত বছরই দলের ফিটনেসের অবস্থা দেখে আমি বলেছিলাম যে এ বছর থেকে ইয়ো ইয়ো টেস্ট চালু করব। লালজি এসে সেই একই কথা বললেন। এটাই স্বাভাবিক। সঠিক ফিটনেস ও মানসিকতা থাকলে চতুর্থ ইনিংসে ভাল খেলা যায়। সেটাই চাই আমাদের।’’ তবে রঞ্জির মাঝখানে সপ্তাহ দুয়েকের বিরতিতে এই পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy