বাংলার বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম দিনেই চার উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ভারতীয় পেস আক্রমণের অন্যতম ভবিষ্যৎ। ইডেনের পেস-সহায়ক পিচে তাঁর চোরা গতির সামনে ১৪৭ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলা। দিনের শেষে সেই বাসিল থাম্পি জানালেন, গত চার বছরে এত ভাল পিচে কখনও বল করেননি।
মঙ্গলবার প্রথম দিনের খেলা শেষে থাম্পি বলেন, ‘‘সাধারণত পাটা উইকেটে বোলিং করে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু গত চার বছরে এত ভাল পিচ আর কোথাও দেখিনি। গতি ও বাউন্সের মিশেল আমার আত্মবিশ্বাস আজ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।’’
গত দু’বছর তিনি আইপিএলে খেলেছেন। প্রথম বছরে গুজরাত লায়ন্স ও দ্বিতীয় বছরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। ১৬টি ম্যাচে তিনি পেয়েছেন ১৬ উইকেট। বাসিল বলছিলেন সাদা বলের ক্রিকেট থেকে লাল বলের ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বেশ খাটতে হয়েছে তাঁকে। থাম্পির কথায়, ‘‘গত দু’বছর লেংথ ঠিক করতে বেশ সমস্যা হয়েছে। সেটা নিয়েই কাজ করেছি। আগে বেশি শর্ট বল করার প্রবণতা ছিল। দেখতে ভাল লাগত যে ব্যাটসম্যানের গায়ের পাশ দিয়ে বল যাচ্ছে। কিন্তু উইকেট পেতাম না। এখন আরও বেশি ‘গুড লেংথ’-এ বল করছি। তাই উইকেটও পাচ্ছি।’’
বিবেক সিংহ ও মহম্মদ শামিকে টানা দু’বলে আউট করে রঞ্জি ট্রফিতে তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন থাম্পি। কিন্তু অশোক ডিন্ডা তাঁর বল কোনও রকমে আটকে সেই আশায় জল ঢেলে দেন। যদিও থাম্পি মনে করেন, হ্যাটট্রিকের সুযোগ আগামী দিনেও আসবে। বলেন, ‘‘ভাল বল করলে এ রকম সুযোগ আবার পাওয়া যাবে। এখন শুধু মাত্র ম্যাচ জেতার চিন্তাই করছি।’’
মহমেডান শেষ চারে: গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত বোড়োল্যান্ড মার্তিস কাপের সেমিফাইনালে উঠল মহমেডান। মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালে ফিলিপ আজারা হারালেন ডায়ামালু এফ সিকে। রঘু নন্দীর দল জিতল ২-১ গোলে। মহমেডানের পক্ষে গোল করেন দেবাশিস প্রধান ও ফিলিপ আজা। ব্যবধান কমান সুকুর সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy