Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কৌশলী খালিদ এগিয়ে রাখছেন ইস্টবেঙ্গলকে

চোট সারিয়ে দু’একদিনের মধ্যেই এনরিকে এসকুয়েদা ফিরছেন ইস্টবেঙ্গলে। সুস্থ থাকলে জবি জাস্টিনের সঙ্গে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে ২৭ জানুয়ারি।

ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী দল। বলছেন মোহন-কোচ। —ফাইল চিত্র।

ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী দল। বলছেন মোহন-কোচ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০১
Share: Save:

আই লিগের দ্বিতীয় ডার্বিতে আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলকে এগিয়ে রাখলেন খালিদ জামিল! য়ুবভারতীতে বড় ম্যাচ শুরুর আট দিন আগে মোহনবাগান কোচ বলে দিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী দল। তা ছাড়া শুক্রবারের ম্যাচ জিতে লিগ টেবলের দু’নম্বরে উঠে এসেছে ওঁরা। স্বাভাবিক ভাবেই ইস্টবেঙ্গল ডার্বিতে অ্যাডভান্টেজ নিয়েই নামবে। আমাদের উপর তাই কোনও চাপ নেই।’’ বোঝাই যায় নিজের ফুটবলারদের উপর চাপ কমাতে এটা আই লিগ জয়ী কোচের কৌশল।

ব্রিগেডে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য শনিবার অনুশীলন বন্ধ ছিল দিপান্দা ডিকাদের। আজ রবিবার থেকে ফের ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করবেন সনি নর্দেরা। ফোনে খালিদ বলে দিলেন, ‘‘এই ম্যাচটা জিততে হবে। এবং জিতলে খেতাবের লড়াইতে ফেরার রাস্তা তৈরি হলেও হতে পারে। এই ম্যাচটা না জিততে পারলে তো আর কোনও অঙ্কই কাজে লাগবে না।’’ তাঁর কোচিংয়ে কোনও গোল না খেয়ে পরপর দু’ম্যাচ জিতলেও ডার্বির সঙ্গে তাঁর যে ওই ম্যাচগুলির যে কোনও তুলনা হয় না, জানেন খালিদ। গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলকে কোচিং করিয়ে একবারও এই ম্যাচ জিততে পারেননি তিনি। সে জন্যই এ বার প্রচণ্ড সতর্ক খালিদ। বলছিলেন, ‘‘ওমর এলহুসেইনি সুস্থ হয়ে গিয়েছে। আজ, রবিবার থেকে বল নিয়ে দলের সঙ্গে অনুশীলনে নামবে। সবাইকে সুস্থ পেলে কোচেদের সুবিধা হয়। আমি সেই চেষ্টাই করছি।’’

চোট সারিয়ে দু’একদিনের মধ্যেই এনরিকে এসকুয়েদা ফিরছেন ইস্টবেঙ্গলে। সুস্থ থাকলে জবি জাস্টিনের সঙ্গে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে ২৭ জানুয়ারি। খালিদ বললেন, ‘‘এনরিকের খেলা আমি দেখেছি। জবিও বেশ ভাল খেলছে। আমাদের রক্ষণকে সতর্ক থাকতে হবে।’’ ইস্টবেঙ্গল বনাম অ্যারোজ ম্যাচ বাড়িতে বসে দেখেছেন জানানোর পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘আচ্ছে দল।’’

তাঁর হাতে হেনরি কিসেক্কা এবং দিপান্দা ডিকার মতো দু’জন স্ট্রাইকার আছে। রয়েছেন সনি নর্দের মতো খেলা তৈরির লোক। হাইতি মিডিয়ো গোলও করছেন। তা সত্ত্বেও খালিদ বলছিলেন, ‘‘জেতার জন্য জোড়া স্ট্রাইকারে খেলাব কি না, তা ঠিক করিনি। রক্ষণ মজবুত করাটা প্রথম কাজ। তার পর গোল করার কথা ভাবব।’’ অঙ্কের বিচারে বাকি সাত ম্যাচ জিতলে ৪২ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন শিল্টন পালরা। অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটিয়ে সব ম্যাচ জিতলেও সনিদের আই লিগ পাওয়া কার্যত অসম্ভব। কারণ লিগ টেবলের যা অবস্থা তাতে ইতিমধ্যেই ১৩ ম্যাচ খেলেই ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চেন্নাই সিটি এফ সি। বাকি সাত ম্যাচের চারটি জিতলেই ৪২ হয়ে যাবে তাদের। লিগ নিয়ে কাটাছেঁড়া করা রেনেডি সিংহের মতো বিশেষজ্ঞ ভাষ্যকারও মনে করেন, ৪২-৪৩ পয়েন্টেই লিগের ফয়সলা হয়ে যাবে। খালিদ অবশ্য এ সব অঙ্ক নিয়ে আলোচনায় যেতে রাজি নন। তাঁর মাথায় ঘুরছে শুধুই ডার্বি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE