ছবি: সংগৃহীত।
আবু ধাবি পৌঁছেই হোটেলে নিজেদের ঘরে নিভৃতবাসে দীনেশ কার্তিক, শুভমন গিলরা। আগামী ছ’দিন এ ভাবেই গৃহবন্দি থাকতে হবে কেকেআর-সহ আইপিএলের সব দলের ক্রিকেটারদেরই। সতীর্থদের সঙ্গে কোনও ভাবেই দেখা করা যাচ্ছে না। তবে পাশাপাশি ঘর হলে ব্যালকনি দিয়ে চলছে কথোপকথন। এই ছ’দিনে তিন বার করোনা পরীক্ষা হবে সকলের। প্রত্যেকটি ফল ‘নেগেটিভ’ এলে তবেই তিনি দলের সঙ্গে মেশার ছাড়পত্র পাবেন। তাই প্রথম দিন অনলাইনে গেম খেলেই কাটাতে হল শুভমন, শিবম মাভি, কমলেশ নগরকোটিদের।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাজধানী আবু ধাবির একটি হোটেলে আছে কেকেআর। ২০১৪-তেও সেই হোটেলেই ছিলেন গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন কেকেআর। সে বার মরুদেশে চারটি ম্যাচ হেরে ফিরলেও দেশের মাটিতে টানা ন’টি ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। এই হোটেলই জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি হবে। হোটেলের বাইরে পা রাখা বলতে শুধুই মাঠে যেতে পারবেন ক্রিকেটারেরা। হোটেলের ‘প্রাইভেট বিচ’ রয়েছে। কিন্তু তা জৈব সুরক্ষা বলয়ের আওতায় পড়ছে কি না, নিশ্চিত নয় নাইট শিবির।
কেকেআর ডট ইনকে নাইট সিইও বেঙ্কি মাইসোর বলেছেন, ‘‘বোর্ডের এসওপি (স্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) মেনে নিভৃতবাস কাটানোর পরে অনুশীলনে নামবে ক্রিকেটারেরা।’’ অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক মনে করেন, এ বারের আইপিএল অন্য বারের চেয়ে অনেক আলাদা। কিন্তু ক্রিকেটারেরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে তৈরি। কার্তিক বলেছেন, ‘‘সারা বিশ্ব যে ধরনের সব ঘটনার সাক্ষী তাতে সত্যি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ বারের আইপিএল অন্যান্য বারের চেয়ে অনেক আলাদা। অনেক কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে সকলকে।’’
নবরূপে: ‘পিপিই কিট’ পরে যাত্রা দুই ভাই, ক্রুণাল ও হার্দিকের। আগমন: তিনি ফিরছেন ক্রিকেটে। দুবাই পৌঁছে বিরাট কোহালি। ছবি: টুইটার ও ফেসবুক।
সমর্থকদের উদ্দেশে কেকেআর অধিনায়কের বার্তা, ‘‘তবে এটা বুঝতে পারি, আমরা ভাল খেললে আপনাদের মুখে হাসি ফোটে।’’ যোগ করেন, ‘‘অনুশীলন করার পর্যাপ্ত সময় পাইনি। জানি, এ বারে অনেক বাধা আসতে পারে। কিন্তু আমরা নিজেদের উজাড় করে দিতে তৈরি। এ বার ইডেনে আমরা খেলতে পারব না। তবুও আশা করি, ভক্তরা আমাদের পাশে থাকবেন।’’
পরীক্ষা: দুবাইমুখী। বিমানবন্দরে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে ধোনির। ছবি: পিটিআই।
লকডাউনের জন্য অনেক দিন ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়েছে। চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবের কথায়, ‘‘লকডাউনের শুরুতে সত্যি সমস্যা হয়েছে। বাইরে অনুশীলন করতে যেতে পারিনি। তবুও এখন আমি তৈরি। সাত দিন পরে যদি ম্যাচ খেলতে বলা হয়, তাতেও আমি রাজি। মাঠে ফেরার তর সইছে না।’’ তরুণ নাইট তারকা শুভমন গিল এ বার আরও অভিজ্ঞ। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম জানিয়ে দিয়েছেন, শুভমনের দায়িত্ব এ বার আরও বাড়বে। শুভমন নিজে কী বলছেন? তরুণ ব্যাটসম্যানের উত্তর, ‘‘শেষ পাঁচ মাস মানসিক ভাবে তৈরি হওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারিনি। তবে এখন আমি খুবই উত্তেজিত। মাঠে ফিরে রান করার খিদে আরও বেড়ে গিয়েছে আমার।’’
তরুণ পেসার কমলেশ নগরকোটি আবার মজা করে বলেছেন, তিনি এখন থেকেই মায়ের হাতের সুস্বাদু খাবারের অভাব অনুভব করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মায়ের হাতের যে কোনও রান্নাই সুস্বাদু। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব? বাইরে খেলতে এলে এটারই সব চেয়ে বেশি অভাব অনুভব করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy