ফাইনালে পৌঁছে কলকাতার ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: ফেসবুক।
মুম্বই ০
কলকাতা ০
মোট গোল: ২-৩
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের অ্যাওয়ে ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে ফাইনালে পৌঁছে গেল কলকাতা। প্রথম বছরই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দ্বিতীয় বছর সেমিফাইনাল থেকেই ফিরতে হয়েছিল। তৃতীয় বছর আবারও ফাইনালের দরজা খুলে ফেললেন মলিনার ছেলেরা। তবে ম্যাচের শেষটা একদমই ভাল হল না। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই দলের ফুটবলাররা। মুম্বই প্লেয়ারদের মারে ডান চোখের নিচে আঘাত পেলেন কলকাতা ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল। মুম্বই প্লেয়ারদের হাতে আক্রান্ত কলকাতার লালরিন ডিকা রালতেও। লাল কার্ড দেখলেন থিয়াগো ডস স্যান্টোস কুনহা ও কার্লোস রডরিগেজ বেলেনকোসো।
আরও খবর:- ‘প্লেয়ার অব দি ইয়ার’ চাপেকোয়েনস গোলকিপার, জানা হল না তাঁর
ম্যাচ শেষে আহত প্রীতম কোটাল। ছবি: ফেসবুক।
পুরো ম্যাচ যেন ড্র করতেই নেমেছিল কলকাতা। প্রথম লেগে ৩-২ গোলে জিতে থাকায় এই ম্যাচে বেশি গোলের জন্য ঝাঁপাতে দেখা যায়নি মলিনার ছেলেদের। ম্যাচ শুরুর ছ’মিনিটের মধ্যেই সুনীল ছেত্রীর কাছে চলে এসেছিল নিশ্চিত সুযোগ। কলকাতা গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার একা তখন সামনে। কিন্তু সুনীলের শট দক্ষতার সঙ্গে বাঁচিয়ে দেন তিনি। ২৪ মিনিটেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া বিদ্যানন্দর জায়গা মাঠে নামেন ডিকা। ২৯ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে কলকাতার সামনে। এ বার মুম্বই গোলের নিচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন অমরিন্দর। জোড়া হলুদ কার্ড দেখে প্রথমার্ধের শেষেই মাঠ ছাড়েন কলকাতার ডিফেন্ডার রবার্ট। দ্বিতীয়ার্ধটা পুরোই ১০ জনে খেলতে হয় কলকাতাকে। যে কারণে অনেকটাই রক্ষণাত্মক হয়ে পরে দল। তার মধ্যেই বার কয়েক আক্রমণে উঠতে দেখা যায় কলকাতাকে।
এদিন প্রথম থেকেই ম্যাচের উত্তাপ ছিল তুঙ্গে। গ্যালারিতে দলের জন্য গলা ফাটাতে ছিলেন দুই দলের মালিকরাই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে রনবীর কাপুর। ছিলেন অভিষেক বচ্চনের মতো তারকাও। ৫৯ মিনিটে ও ৭৬ মিনিটে ১০ জনেই দু’বার মুম্বইকে চাপে ফেলে দিয়েছিল কলকাতা। শেষ মুহূর্তে কলকাতার দূর্ঘ রক্ষা করেন দেবজিৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy