-সবার উপরে। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন কোচকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর উচ্ছ্বাস। -নিজস্ব চিত্র
বেঙ্গালুরু-২ : সালগাওকর-০
(লিংডো, লেন)
শুরুর আট ও শেষের চার মিনিটের ঝড়েই কেল্লা ফতে! ঘরের মাঠে হারানো জমি ফের পুনরুদ্ধার তো হলই, এক ম্যাচ বাকি থাকতে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এখন স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচই পড়ে থাকল শিলিগুড়িতে।
কিছু দিন আগে ভাইচুং ভুটিয়া ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, বেঙ্গালুরুকে একমাত্র বেঙ্গালুরুই হারাতে পারে। না হলে সুনীল ছেত্রীদের এ বারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া এখন শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। রবিবার চ্যাম্পিয়ন টিমের মতোই খেললেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলাররা। কোনও বাড়তি ঝুঁকি নেননি। স্রেফ বাড়তি চাপ তৈরি করে শুরুতেই গোল আদায় করে রাখা। পরে সারাক্ষণ ওয়ান-টু-ওয়ান খেলে যাওয়া। সালগাওকর যে সামান্যটুকু সুযোগ পেয়েছে, সেটাও বলা যাবে না। একেবারে নিখুঁতভাবে অঙ্ক কষে বাগানের স্বপ্নভঙ্গ করলেন সুনীলরা।
কিন্তু বাগানের মুখের সামনে থেকে একা বেঙ্গালুরুই ট্রফিটা ছিনিয়ে নিল? গোটা মরসুমের দিকে পিছন ফিরে একবার চোখ বোলালে দেখা যাবে, এই পরিস্থিতির জন্য অনেকটা দায়ী খোদ মোহনবাগান টিমই। যে সব ম্যাচে হেলায় পয়েন্ট নষ্ট করেছেন সনি-কাতসুমিরা, তাতে বলা যেতেই পারে— বেঙ্গালুরুকে ট্রফিটা উপহার দিল মোহনবাগান। যদিও এ সব নিয়ে আর ভাবতে চাইছেন না সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। উল্টে পুরনো কথা ভুলে সামনের দিকেই এগোতে চাইছেন সবাই। দলের অন্যতম ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল বলছিলেন, ‘‘খারাপ তো লাগছেই। কিন্তু এ সব নিয়ে ধরে বসে থাকলে তো আর হবে না। আমরা এ বার ফেডারেশন কাপের দিকে মনোযোগ দিতে চাই।’’
ট্রফি হারালেও, চরম লজ্জার হাত থেকে বাঁচার একটা সুযোগ আছে বাগানের সামনে। কী ভাবে? আগের বছর বেঙ্গালুরুর ডেরা থেকে যে ট্রফি ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল সঞ্জয় সেনের দল, সেটা রক্ষা করা যায়নি। তবে শেষ রাউন্ডে নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ফেড কাপের আগে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার সুযোগ অবশ্যই পাবেন সনিরা। ঘুরিয়ে এটাও বুঝিয়ে দেওয়া, আই লিগ ট্রফি হাতছাড়া হলেও, আগামী দিনে ভারতসেরা বেঙ্গালুরুর প্রধান প্রতিপক্ষ তারাই। এ দিন এক সবুজ-মেরুন ফুটবলার বলছিলেন, ‘‘ট্রফি জিততে পারলাম না কিছুটা নিজেদের দোষে। তবে ফেড কাপ জিতে আবার সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাব।’’
মোহনবাগানে যখন আফসোস, তখন উৎসবের মেজাজ বেঙ্গালুরুতে। রবিবার মাঝরাতে ভারতসেরা টিমের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা আজ সারা রাত পার্টি করব। এক বছর আগে যে মাঠে ট্রফি হারিয়েছিলাম, সেখানেই আবার চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে দ্বিগুণ আনন্দ হচ্ছে। আমরা এ বার চ্যাম্পিয়নের মতোই ট্রফিটা তুলতে চাই কলকাতায়। মোহনবাগানকে হারিয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy