নিউজিল্যান্ড সিরিজটা ভারতের জন্য দুর্ধর্ষ যাচ্ছে। আজ দিল্লিতে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচ। এবং ভারতীয়দের সামনে আরও একটা সুযোগ সফরকারী দলকে ভাজার।
আমরা অনেক কিছু নিয়ে কথা বলে চলেছি। কিন্তু এখন প্রশ্নটা হল, নিউজিল্যান্ডের জন্য এর পরে কী? ওদের কাছে সফরটা খারাপ থেকে খারাপতর হয়ে ক্রমে জঘন্য হয়ে ওঠার দিকে এগোচ্ছে। এমনকী কেদার যাদবও এখন নির্ঘাত ভাবছে, হাত ঘোরালেই তো ব্ল্যাক ক্যাপদের আউট করে দেওয়া যায়! ধর্মশালায় আগের ম্যাচে কেদারের দু’টো উইকেট পাওয়াটা ওকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাচ্চা ছেলেটা খুব ভাল এক জন ক্রিকেটার। এই পর্যায়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রতিভা দেখানোর জন্য কেদারের নিয়মিত সুযোগ পাওয়া দরকার।
আমি এটাও দেখতে আগ্রহী যে, হার্দিক পাণ্ড্য জীবনের প্রথম ওয়ান ডে-তে ও রকম ভাল পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা কতটা দেখাতে পারে কোটলায় পরের ম্যাচে। হার্দিকের বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় উন্নতি ঘটেছে ওর লেংথে। ওর ডেলিভারির সিম পজিশন একেবারে নিখুঁত। এই ভারতীয় দলে এক জন সিম বোলিং-অলরাউন্ডার হিসেবে ও কিন্তু আশা জাগিয়ে তুলেছে। অনিল কুম্বলেকে দেখতে হবে যাতে হার্দিক ব্যাটিংয়ের ব্যাপারেও ঠিক মতো পরামর্শ পায়। তা হলে ও এক জন সলিড ক্রিকেটার হয়ে উঠবে। এ ব্যাপারে হার্দিকের নিজের মানসিকতাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওর সাফল্যের চাবিকাঠি নির্ভর করছে, ও কতটা কঠিন পরিশ্রমের জন্য তৈরি আছে। বিশেষ করে ক্রিজে থাকার সময়। ঠিক যে রকম কঠিন পরিশ্রম জাক কালিস বহু বছর ধরে ব্যাট হাতে করে এসেছে!
তবে আবার ঘুরে-ফিরে সেই প্রশ্নটায় ফিরছি যে, সিরিজে উঠে দাঁড়াতে নিউজিল্যান্ডের আজ মাঠে নতুন কী করা দরকার? ওদের ব্যাটিং ব্যাপক ডুবিয়ে চলেছে এই সফরে। আর তার কারণ হল, ক্রিজে নিজেদের প্রয়োগের ব্যর্থতা। ওদের শরীরী ভাষায় সেই প্রয়োজনীয় লড়াই এবং দৃঢ়তা দেখা যাচ্ছে না। আর ওরা যদি ব্যাটিং-ধস আটকাতে না পারে তা হলে টেস্ট সিরিজ ৩-০ হওয়ার পরে ওয়ান জে সিরিজটাও ৫-০ হতে পারে। ছুটে আসা গোলাগুলিকে গিলে ফেলতে হবে ওদের টপ অর্ডারকে। ক্রিজে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করতে হবে। শুরুর দিকে রান রেট কম থাকলেও ক্ষতি নেই। কোটলার পাটা উইকেট আর দ্রুত আউটফিল্ডের সৌজন্যে পরের দিকে প্রচুর সুযোগ পাওয়া যাবে দ্রুত রান তোলার।
কেন উইলিয়ামসন এই নিউজিল্যান্ড দলের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান। ওর ব্যাটে বড় রান যেমন দরকার, তেমনই ওর দলের পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারাটাও খুব প্রয়োজন। রান তোলার গতি যেমনই হোক না কেন! রস টেলরের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও ভাবার সময় এসে পড়েছে। সম্ভবত ব্ল্যাক ক্যাপ টিম ম্যানেজমেন্ট ওকে নীচের দিকে পাঠাবে। নতুন বলের সামনে ফেলবে না। কারণ টেলরের একটা লম্বা ব্যাডপ্যাচ যাচ্ছে। ট্রেন্ট বোল্টকে নিউজিল্যান্ড একাদশে দেখতে না পেয়েও আমি অবাক! বিশেষ করে যখন উত্তর ভারতে বছরের এই সময় দিন-রাতের ম্যাচের শুরুর দিকে সাদা বল ভাল মুভ করে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy