গোলের পর মেসির উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি।
সুয়ারেজের হ্যাটট্রিক, মেসির জোড়া গোল, প্রতিপক্ষকে ৬-১ গোলে হারানো। সব মিলিয়ে লা লিগার শীর্ষ স্থান আরও পোক্ত হল বার্সেলোনার। ২৫ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের থেকে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে থাকল বার্সা। তিনে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে রিয়েল মাদ্রিদ। অ্যাটলেটিকো অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে।
ঘরের মাঠে গিরোনার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। ক্যাম্প ন্যু-তে মেসির বার্সেলোনা প্রতিপক্ষ যথেষ্টই দুর্বল, জয় যে আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যে চমক দিয়ে বসল গিরোনা। তখনও গুছিয়ে বসতে পারেনি গ্যালারি।
ঘরের মাঠে শুরুতে যেন অতি আত্মিবিশ্বাসীও হয়ে পড়েছিল গোটা দল। এই সুযোগেই ছন্দপতন। রক্ষণের ভুলেই পর্তুর গোলে গিরোনার এগিয়ে যাওয়া। যদি সেই ধাক্কা সামলে উঠতে বার্সেলোনার বিশেষ সময় লাগল না। গোল হজমের ঠিক দু’মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ করে দিলেন লুই সুয়ারেজ।
আরও পড়ুন
রোনাল্ডোর দুই গোল
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ম্যাচে তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কিন্তু মাঠে নেমেই জবাব দিলেন সুয়ারেজ। শুধু দলকে সমতায় ফেরালেনই না করে ফেললেন হ্যাটট্রিক। ম্যাচের পাঁচ মিনিটে সুয়ারেজকে দিয়ে গোল করিয়ে নিজের নামের পাশে মেসির গোল লিখে নিতে সময় লাগল ৩০ মিনিট। ঠিক ছ’মিনিটের মধ্যে আবারও মেসির গোল। ৪৪ মিনিটে সুয়ারেজ তাঁর দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করে ফেললেন। প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিল সেখান থেকে গিরোনার ফেরা প্রায় অসম্ভবই ছিল। পিরতেও পারেনি।
বল দখলের লড়াইয়ে সুয়ারেজ। ছবি: এএফপি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য প্রথমার্ধের অ্যাকশন রি প্লে দেখা গেল না। যে ভাবে প্রথমার্ধ শেষ করেছিল চার গোল দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে হল মাত্র আর দু’গোল। ৬৬ মিনিটে কুটিনহোর অসাধারণ একটা গোলই ম্যাচ শেষে সবার চোখে লেগে থাকল। সুয়ারেজের একটা ব্যাক পাস ধরে ২৫ গজ দূর থেকে সুয়ারেজের শট সরাসরি চলে যায় গোলে। ৭৬ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিকটি সেরে ফেলেন সুয়ারেজ। ডানপ্রান্ত দিয়ে ডেম্বেলার বল নিয়ে দৌড়েই কেটে গিয়েছিল গিরোনার রক্ষণ। সঙ্গে সুয়ারেজকে মাপা পাস। এখানেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ।
এই জয়ের সঙ্গে নিজেদের ক্লাবের রেকর্ডই ভাঙলেন মেসিরা। লা লিগায় অতীতে ৩১ ম্যাচ অপারিজত থাকার রেকর্ডকে ছাপিয়ে ৩২টি জয়ে পৌঁছে গেল বার্সেলোনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy