বরণ: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে ঘরে ফেরা বাংলার পেসার ঈশান পোড়েলকে নিয়ে উচ্ছ্বাস তাঁর চন্দননগরের পাড়ায়। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
ঠিক একুশ বছর আগে ১৯৯৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার পর লক্ষ্মীরতন শুক্লর হাতে নিজের একটি জার্সি তুলে দিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত। বুধবার সেই স্মৃতিরই পুনরাবৃত্তি ঘটালেন লক্ষ্মী নিজে। তাঁর ১০০তম রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের জার্সিটি তুলে দিলেন বাংলার বিশ্বকাপ জয়ী পেসার ঈশান পোড়েলের হাতে। বাড়ি ফিরেই এক অমূল্য সম্পদের প্রাপক হলেন বাংলার বিশ্বকাপ জয়ী পেসার।
বুধবার চন্দননগরে ঈশানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ফোনে সেই স্মৃতির কথাই জানালেন প্রাক্তন বঙ্গ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে উঠে এসেই আমি ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছি। তখন আমাদের কোচ ছিলেন কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত। উনিই আমাকে বলেছিলেন যে, তুমি ভারতের হয়ে খেলবে। আমারও ঈশানকে দেখে সেই কথাই মনে হয়েছে। ভারতীয় দলে খেলার জন্য ঈশান যে সাহসিকতার প্রমাণ দিয়েছে, তা সত্যিই অতুলনীয়। তাই আমার তরফ থেকে অবশ্যই একটি উপহার ওর প্রাপ্য।’’ তাই বলে নিজের এত বড় সম্পদ ওর হাতে তুলে দিলেন? হেসে বলে ওঠেন, ‘‘আমি তো আর খেলি না। তাই ও-ই আমার জার্সি পরে খেলুক।’’ঈশানকে পুরস্কৃত করে লক্ষ্মীর প্রত্যাশা, ‘‘বাংলার হয়ে একশো রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ আমি খেলতে পারলে ও-ও নিশ্চই পারবে। পায়ে চোট নিয়েই বিশ্বজয় করেছে ঈশান। আমি তো চাইব ভারতীয় দলের হয়েও নিয়মিত যেন খেলতে পারে ও। আমি মনে করি, মনের জোর না থাকলে কেউ কোনও দিনও বড় কিছু করতে পারবে না। ঈশানের মধ্যে কিন্তু তার কোনও অভাব নেই। ও যদি ঠিক পদ্ধতিতে অনুশীলন চালিয়ে যায়, ভারতীয় দলের হয়ে ওর খেলা কেউ আটকাতে পারবে না।’’
তা হলে কি ঈশানকে অনুপ্রাণিত করার জন্যই এই উপহার?, উত্তরে বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘‘ওকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এর থেকে ভাল কিছু আমি দিতে পারতাম না। তাই এই জিনিসটা ওর হাতে তুলে দিতে আমি একবারও ভাবিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy