আবার কি জুটি বাঁধতে দেখা যাবে বোপান্না-পেজকে। ফাইল চিত্র
লিয়েন্ডার পেজ দলে ফিরলেও ভারতের ডেভিস কাপ সংসারে কিন্তু ঝড় থামার ইঙ্গিত নেই। লিয়েন্ডারের সঙ্গে খেলা নিয়ে পুরনো অশান্তি জিইয়ে রাখলেন রোহন বোপান্না-মহেশ ভূপতিরা, যার জেরে ফের অনিশ্চয়তার মুখে চূড়ান্ত দল নির্বাচন। এপ্রিলে চিনের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত ভারতের হয়ে ঠিক কারা কোর্টে নামবেন, টাইয়ের তিন সপ্তাহ আগেও তা অনিশ্চিত।
এপ্রিলের ৬-৭ চিনের তাইনজিনে এশিয়া-ওশিয়ানিয়া গ্রুপ ১ টাইয়ের জন্য যে দল ঘোষনা করা হল, তাতে লিয়েন্ডার ও বোপান্না দু’জনেই আছেন। ৪৪ বছর বয়সি লিয়েন্ডারের সামনে ৪৩টি ডেভিস ম্যাচ জিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ার সুযোগ। দলের অন্যরা হলেন, ইউকি ভামব্রি, রামকুমার রামনাথন, সুমিত নাগাল ও দ্বিবিজ শরণ।
এমনিতেই এখন থেকে ডেভিসের লড়াই আরও কঠিন হচ্ছে। কারণ, দু’দিনে পাঁচটি তিন সেটের ম্যাচ হবে প্রতি টাইয়ে। দ্বিতীয় দিন ডাবলসের সঙ্গে দু’টি ফিরতি সিঙ্গলসও হবে। তার ওপর আবার বাধ সাধছেন বোপান্না। দল নির্বাচনের কয়েক দিন আগে নন প্লেইং ক্যাপ্টেন মহেশ ভূপতি নির্বাচকদের প্রধান এসপি মিশ্রকে জানান, লিয়েন্ডারকে সবচেয়ে বেশি ডেভিস ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ার সুযোগ দিতে নিজেকে পরবর্তী টাই থেকে সরিয়ে নিতে চান বোপান্না। লিয়েন্ডারের সঙ্গে যে খেলতে চান না, কার্যত এই ইঙ্গিতই দেন তিনি।
কিন্তু রবিবার মহেশের এই চিঠিকে গুরুত্ব না দিয়ে দলে দু’জনকেই রাখা হল। কোচ জিশান আলি বলেন, ‘‘দেশের সেরা তিন সিঙ্গলস খেলোয়াড় ও সেরা তিন ডাবলস খেলোয়াড়কে রাখা হয়েছে দলে। এটাই এই মুহূর্তে আমাদের সেরা দল। লিয়েন্ডার ও রোহন ডাবলসে খেললে আমাদের জেতার সম্ভাবনা প্রবল।’’
বোপান্না এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু লিয়েন্ডার জানিয়ে দেন, বোপান্নার সঙ্গে ডাবলসে নামতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দলে ফিরতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। এ জন্য প্রচুর পরিশ্রম করে র্যাঙ্কিংয়ে নিজেকে তুলে (ভারতের সেরা ৫০-এর মধ্যে) নিয়ে এসেছি। রোহনের সঙ্গে কোর্টে নামতে আমার কোনও আপত্তি নেই। রোহনের প্রতিভার প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে। আমাদের জুটি ভালই হবে।’’
সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থা সূত্রে জানা যায়, শনিবার এগজিকিউটিভ কমিটির সভায় মহেশ বলেই দেন, লিয়েন্ডারের সঙ্গে বোপান্না খেলতে চান না। সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘মহেশ জানায়, লি-বোপান্নার মানসিক দূরত্ব এখনও কমেনি। কোর্টের মধ্যে দু’জনের রসায়নও যার ফলে ভাল হবে না। ওর ধারণা, একমাত্র লিয়েন্ডারই বোপান্নাকে একসঙ্গে খেলতে রাজি করাতে পারে।’’ কিন্তু তাঁর এই ব্যাখ্যা মানা হয়নি। বরং পাল্টা প্রশ্ন ওঠে, দেশের সরকারের কাছ থেকে অনুদান পাওয়া সত্ত্বেও বোপান্না ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে দেশের হয়ে খেলতে অস্বীকার করেন কী ভাবে?
গত এপ্রিলে ভূপতি উদ্যোগ নিয়ে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে টাই থেকে লিয়েন্ডারকে সরিয়ে দেন। যার জেরে দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাগযুদ্ধও হয়। কানাডার বিরুদ্ধে ওয়ার্ল্ড গ্রুপ টাই থেকেও লিয়েন্ডারকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন তিনি দেশের সেরা ৫০-এ চলে আসায় লিয়েন্ডারকে অন্য ভাবে আটকানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে টেনিস মহলের ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy