—ছবি পিটিআই।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে এখনও বিশ্বের সেরা ফিনিশার বলতে আপত্তি নেই অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলের। একটি ওয়েবসাইটে নিজের কলামে চ্যাপেল লিখেছেন, ‘‘ম্যাচ শেষ করে আসার ব্যাপারে ধোনির মতো দক্ষতা এবং নার্ভের পরিচয় কেউ দেখাতে পারেনি। অনেক সময়ই আমি ভেবেছিলাম, এ বার আর ধোনি ম্যাচ বার করতে পারবে না। অনেক দেরি পর্যন্ত ও অপেক্ষা করেছে। কিন্তু আমাকে অবাক করে গোটা দু’য়েক বড় বড় শট নিয়ে ও ভারতকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছে।’’
ম্যাচ যতই উত্তেজক পরিস্থিতির দিকে এগোক না কেন, ধোনিকে কেউ কখনও উত্তেজিত হতে দেখেনি। চ্যাপেলের মন্তব্য, ‘‘ও বাইরে থেকে যে রকম শান্ত, ভিতর থেকেও তেমনই। যে ভাবে ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলে যায়, তাতে বোঝা যায় ওর মাথাটা কী ভাবে কাজ করে চলেছে।’’
এর পরে বিশ্ব ক্রিকেটের আর এক বিখ্যাত ‘ফিনিশার’ মাইকেল বেভানের সঙ্গেও ধোনির তুলনা করেছেন চ্যাপেল। বুঝিয়ে দিয়েছেন, কে এগিয়ে। চ্যাপেল লিখেছেন, ‘‘বেভান যেখানে ম্যাচ শেষ করত চার মেরে, সেখানে ধোনি ম্যাচ শেষ করে দেয় ছয় মেরে। রানিং বিটউইন দ্য উইকেট্সের ক্ষেত্রে কে এগিয়ে, এই নিয়ে তর্ক উঠতে পারে। মাথায় রাখতে হবে, ধোনি কিন্তু এই ৩৭ বছর বয়সেও কারও চেয়ে কম ক্ষিপ্র নয়।’’
তুলনা এখানেই শেষ না করে চ্যাপেল আরও লিখেছেন, ‘‘মানছি এখন উন্নত ব্যাটে খেলা হয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে ব্যাটসম্যানদের মানসিকতা বদলেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বলব, পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে বেভানের চেয়ে এগিয়ে ধোনি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা ফিনিশার ধোনিই।’’
কোহালির প্রশংসাও পাওয়া গিয়েছে চ্যাপেলের লেখায়। তিনি লিখেছেন, ‘‘কোহালির ব্যাটিংয়ের ধরন আমাকে ভিভের কথা মনে পড়িয়ে দেয়। কোহালি যে ভাবে খেলছে, সে রকম খেললে একশো ইনিংস আগে ও সচিনের মোট পরিসংখ্যান টপকে যাবে। সচিনের চেয়ে কুড়িটা সেঞ্চুরি বেশি করে শেষ করবে। কিন্তু বয়স বাড়লে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কঠিন। যদি এ রকম কীর্তির মালিক হতে পারে বা কাছাকাছিও আসতে পারে, তা হলে বলব, কোহালি হয়ে উঠবে ওয়ান ডে ক্রিকেটের ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy