আইপিএল থেকে পি সেন। হঠাৎ দেখা মনদীপ-চাওলার। ছবি: উৎপল সরকার।
বিরাট কোহলির থেকে যে কোনও একটা জিনিস নিতে বললে, মনদীপ সিংহ ঠিক করে ফেলেছেন বিরাটের ‘সুইচ অফ’ করার টেকনিকটা ধার করবেন।
আইপিএল আটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সেরা ভারতীয় আবিষ্কার। যিনি এই মহূর্তে কলকাতায়। ওয়াইএমসিএ-র হয়ে সিএবি-র পি সেন ট্রফি খেলছেন। শুধু তিনি নন, পীযূষ চাওলাও খেলছেন ওয়াইএমসিএ-র হয়ে।
এবং মনদীপ খেললেনও বটে! ৪০ বলে ৭২ করে একাই টিমকে সেমিফাইনালে তুলে দিলেন ঐক্য সম্মিলনীর (২৬৭-৫) বিরুদ্ধে। পাঁচ উইকেটে জিতিয়ে।
কী মনে হচ্ছে আইপিএল গ্রহ থেকে কলকাতা ময়দানের পৃথিবীতে পা দিয়ে? সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে দাঁড়িয়ে শুক্রবার বিকেলে মনদীপ বলছিলেন, ‘‘ক্রিকেটাররা যত ক্রিকেটের মধ্যে থাকবে, তত তার উন্নতি হবে। পি সেন ট্রফির কথা আমি শুনেছি আগে।’’ পঞ্জাবের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান বলে দিচ্ছেন, তাঁর ব্যাটিংয়ের এমন পরিবর্তনের কারণ আরসিবি সংসারে বিখ্যাতদের সঙ্গে কাটানো। ‘‘বিরাট, এবির সঙ্গে থাকলে এমনিই অনেক কিছু শেখা যায়। বিরাট মাঠে নামলে চূড়ান্ত আগ্রাসী। মাঠের বাইরে রিল্যাক্সড। খুব ভাল সুইচ অফ করতে পারে। বিরাটের মনোভাব, পরিস্থিতিকে বিচার করার ক্ষমতা, অসাধারণ।’’
তবে আইপিএল আটের সেরা আবিষ্কারের এক জন হয়েও ভারতীয় দল নিয়ে ভাবার ‘ভুল’ আর করবেন না মনদীপ। ‘‘দু’বছর আগে মাথায় ঢুকেছিল। কবে ইন্ডিয়া খেলব, সেটা নিয়ে ডুবে থাকতাম। তাতে আমার কেরিয়ার ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছিল। আজ আমি আর দল নির্বাচন নিয়ে ভাবি না।’’ তিনি ভারতীয় ড্রেসিংরুমের দরজা নিয়ে না ভাবতে পারেন, কিন্তু তাঁর উপস্থিতি এ বার ভাবাবে ময়দানি প্রতিপক্ষদের।
কিন্তু না— শুধু তিনি নন। ওয়াইএমসিএ আরও একজনকে নিয়ে আসছে পি সেন সেমিফাইনাল-ফাইনালে।
নাম— শ্রেয়স আইয়ার। অন্যতম নন, একেবারে আইপিএলের সেরা ভারতীয় আবিষ্কার!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy