চিন্তা: মারাদোনাকে পরীক্ষা করছেন ডাক্তারেরা। মঙ্গলবার। ছবি: টুইটার
লিয়োনেল মেসিদের জয়ে আর্জেন্টিনা-সহ সারা ফুটবল বিশ্ব মঙ্গলবার ভোররাতে যখন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসছিল, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি খবরে প্রায় স্তব্ধ হতে বসেছিল সেই উৎসব। ১৯৮৬-র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দিয়েগো মারাদোনা নাকি আর নেই! লিয়ো মেসিদের জয়ের আনন্দে প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই গুজবে যবনিকা নামান স্বয়ং মারাদোনা। যখন তিনি হোয়াটস্যাপে তাঁর এক প্রিয় সাংবাদিককে জানান, ‘‘আমি ভাল আছি। আমার মা, নাতি ও ছেলের নামে দিব্যি করে বলছি আমার কিছু হয়নি।’’
মঙ্গলবার রাতে সেন্ট পিটার্সবার্গে আর্জেন্টিনা-নাইজিরিয়া ম্যাচের সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন মারাদোনা। মেসি গোল করার পরেই প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি। বিরতিতে স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সে নিজের আসনে তাঁকে চোখ বন্ধ করে আধশোয়া অবস্থায় দেখা যায়। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম তাঁর কাছাকাছি থাকা কয়েক জনকে উদ্ধৃত করে জানায়, তিনি নাকি তখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া একটি ছবি ও একটি ভিডিয়ো তাঁকে নিয়ে গুঞ্জন আরও বাড়িয়ে তোলে। ছবিতে দেখা যায়, ডাক্তাররা তাঁকে পরীক্ষা করছেন। আর ভিডিয়োয় দেখা যায় ফাঁকা ভিআইপি বক্স থেকে তাঁকে ধরে ধরে পিছনের ডাইনিং রুমে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর দেহরক্ষীরা। তিনি হাঁটতেই পারছিলেন না তখন।
মুহূর্তে রটে যায়, মারাদোনা অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বুধবার ভোরে খবর ছড়িয়ে যায়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। যে রটনা নিজেই থামান মারাদোনা। তাঁর আত্মজীবনীর লিখিয়ে দানিয়েল আরকুচিকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলেন, ‘‘প্রথমার্ধের পরে আমি যখন খেতে যাই, তখন দেখি সেখানে আমার প্রিয় রেড ওয়াইন নেই, হোয়াইট ওয়াইন আছে। ওটা পুরোটা পান করে নিই।’’
পরে আবার ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি-সহ পোস্ট করেন, ‘‘মঙ্গলবারের ম্যাচে বিরতিতে আমার ঘাড়ে হঠাৎ ব্যথা শুরু হয়। ডাক্তার আমাকে পরীক্ষা করে তখনই স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু দলের এই অবস্থা দেখে (১-০) তখন কী করে যাই?’’ ফিফার আমন্ত্রণে রাশিয়া সফরে গিয়েছেন মারাদোনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy