প্রত্যয়ী: দিল্লিতে বক্সিং বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতিতে মেরি কম। ছবি: পিটিআই।
অভাবনীয় ষষ্ঠ খেতাবের লক্ষ্যে রাজধানীতে মহিলাদের বক্সিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নামছেন মেরি কম। দিল্লির দূষণে প্রতিযোগিতার উপরে প্রভাব পড়লেও আগ্রহের কেন্দ্রে থেকে গিয়েছেন ভারতের তারকা বক্সার।
এই নিয়ে মহিলাদের দশম বিশ্ব বক্সিংয়ের আসর বসছে। যা শুরু হচ্ছে আজ, বৃহস্পতিবার। চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এ বারেরটাই ইতিহাসের সব চেয়ে বড় হতে যাচ্ছে। ৭২টি দেশ থেকে ৩০০-র উপর প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। আরও বেশি করে আগ্রহের কারণ অলিম্পিক্সে বক্সিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়া। ভারতে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বিশ্ব বক্সিং হচ্ছে। প্রথম বার হয়েছিল ২০০৬ সালে। তখন আটটি পদক (৪টি সোনা, ১টি রুপো, ৩টি ব্রোঞ্জ) পেয়ে সেরা হয়েছিল ভারতই। ১২ বছর আগের সেই ফলের পুনরাবৃত্তি করা ভারতের পক্ষে সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কিন্তু অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশ্রনে তৈরি জাতীয় দল অন্তত তিনটি পদকের আশা করছে। একটি সোনা অন্তত আসবে, এমনই প্রত্যাশা রয়েছে দলের মধ্যে।
অবশ্যই এ বারও ভারতের সব চেয়ে বড় আশা মেরি কমকে ঘিরে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মোট পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মেরি। সব চেয়ে বেশি বার খেতাব জেতার ব্যাপারে কেটি টেলরের সঙ্গে একই আসনে রয়েছেন। এ বার দিল্লিতেও যদি মুকুট জেতেন মেরি, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বকালের সফলতম বক্সার হয়ে যাবেন। আইরিশ কেটি টেলর এখন পেশাদার বক্সার হয়ে গিয়েছেন। ৪৮ কেজি বিভাগে লড়াই করবেন মেরি। নিজের দেশের ভক্তদের সামনে তিনি দ্বিতীয় বার সোনা জিততে চাইবেন। এখনও পর্যন্ত চলতি বছরটা ভালই গিয়েছে তাঁর। কমনওয়েলথ গেমস, প্রথম বার হওয়া ইন্ডিয়ান ওপেন এবং পোলান্ডে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছেন তিনি। তবে মেরি জানেন, ৩৫ বছর বয়সে তাঁর কাজ সহজ হবে না। বলে দিচ্ছেন, ‘‘আমার বিভাগে এমন কয়েক জন বক্সার আছে, যাদের সঙ্গে ২০০১ থেকে লড়ছি। তাদের আমি খুব ভাল করে চিনি। আবার নতুন বক্সাররাও আছে। যারা অনেক বেশি ক্ষিপ্র, অনেক শক্তিশালী। আমি অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই।’’
মেরির মতোই নজর থাকবে আর এক অভিজ্ঞ ভারতীয় বক্সারের দিকে। তাঁর নাম সরিতা দেবী। ৬০ কেজি বিভাগে নামছেন তিনি। মোট পাঁচটি এশীয় খেতাব আছে সরিতার। বিশ্ব বক্সিং প্রতিযোগিতায় ২০০৬ সালে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ভারতীয় দলের অন্যরা হচ্ছেন পিঙ্কি জাংগ্রা (৫১ কেজি), মনিষা মউন (৫৪ কেজি), সনিয়া (৫৭ কেজি), সিমরনজিৎ কউর (৬৪ কেজি), লভলিনা বরগোহাইন (৬৯ কেজি), সউতি বুরা (৭৫ কেজি), ভাগ্যবতী কাচারি (৮১ কেজি) এবং সীমা পুনিয়া (৮১ কেজি প্লাস)।
এ ছাড়াও এমন অনেক প্রতিযোগী থাকছেন যাঁরা অলিম্পিক্স বা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতেছেন। ইটালির আলেসিয়া মেসিয়ানো ফেদারওয়েট বিভাগে সোনা জিতেছিলেন দু’বছর আগে। তিনি এ বারেও নামছেন। ২০১৬-তে রুপো জেতা অস্ট্রেলিয়ার কে স্কট থাকছেন। সোমালিয়া থেকে ইংল্যান্ডে পালিয়ে চলে আসা জীবনসংগ্রামে জয়ী রামলা আলি প্রতিযোগিতার অন্যতম
সেরা আকর্ষণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy