নজরে: বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে পদক মেহুলির। ফাইল চিত্র
ব্যক্তিগত বিভাগে পারলেন না, কিন্তু শুটিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে দলগত বিভাগে রুপো নিয়েই ফিরছেন বাংলার মেহুলি ঘোষ।
দক্ষিণ কোরিয়ার চ্যাংওনে সোমবার মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে দলগত এবং ব্যক্তিগত বিভাগে নামেন মেহুলি। দলগত বিভাগে মেহুলির সঙ্গে ছিলেন অপূর্বি চাণ্ডেলা এবং অঞ্জুম মুদগিল। দলগত বিভাগে ১৮৭৯ পয়েন্ট করে রুপো জিতলেও ব্যক্তিগত ইভেন্টে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলার শুটার।
মেহুলির প্রশিক্ষক জয়দীপ কর্মকার বলছিলেন, ‘‘বাংলা থেকে এর আগে কেউ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক পায়নি। বিশ্বকাপে আমি পেয়েছিলাম, কিন্তু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নয়।’’ বিশ্বকাপ আর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শুটিংয়ে তফাত হল, প্রথমটা দু’বছর পরে পরে হয়, চ্যাম্পিয়নশিপ চার বছর পরে। এ বারের চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাওয়ার কারণ, এখানে ১৫টি ইভেন্ট থেকে ৬০টি অলিম্পিক্স কোটা বরাদ্দ আছে। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে অঞ্জুম রুপো এবং অপূর্বি চতুর্থ হয়ে দু’টো কোটা ভারতের জন্য নিয়ে এসেছেন।
বিশ্ব চ্যম্পিয়নশিপে যাওয়ার আগে মেহুলি বলেছিলেন, ‘‘আমি টোকিয়ো অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র নিয়ে ভাবছি না। নিজের সেরাটা দিতে চাই।’’ দলগত বিভাগে সফল হলেও ব্যক্তিগত বিভাগে ব্যর্থতা কিন্তু মেহুলির টোকিয়ো অলিম্পিক্সের রাস্তাটা ক্রমশ কঠিন করে দিচ্ছে। টোকিওয় মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে দু’জন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আপাতত যে দৌড়ে অনেক এগিয়ে অপূর্বি এবং অঞ্জুম। আগামী দেড় বছর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দুরন্ত ফল করতে পারলে, সেই সুযোগ আসতে পারে মেহুলির সামনে। কারণ অলিম্পিক্সের আগে পয়েন্ট এবং র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে সেরা দু’জন শুটারকে টোকিয়ো পাঠাবে ফেডারেশন।
কিন্তু ব্যক্তিগত ইভেন্টে মেহুলি ব্যর্থ হল কেন? জয়দীপ বলছিলেন, ‘‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যাওয়ার আগে মেহুলির প্রস্তুতিটা ঠিক মতো হয়নি। বিদেশি কোচ এশিয়ান গেমসে চলে যান। আমার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই ওকে সাহায্য করতে পারিনি। এর ফল ভুগতে হল মেয়েটাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy