এ বার মারাদোনা চললেন মেক্সিকোয়। ছবি: রয়টার্স।
তিন দশক আগে মেক্সিকো বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। ৩২ বছর পরেও তাঁকে নিয়ে একই রকম আবেগপ্রবণ মেক্সিকোবাসী। তিনি, দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা।
মেক্সিকোর দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব দোরাদোস দে সিনালোয়ার টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব নিয়ে শনিবারই কুলিয়াকান শহরে পৌঁছেছেন মারাদোনা। এই ক্লাবে খেলেই অবসর নিয়েছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। বিমানবন্দরের বাইরে তাঁকে দেখার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ছিলেন ভক্তেরা। হাতে পোস্টার, ‘সোনার ঈশ্বরকে স্বাগত,’ ৫৭ বছর বয়সি মারাদোনা বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখলেন ভক্তদের জয়ধ্বনির মধ্য দিয়েই। এক ভক্ত তো কেঁদেই ফেলেন প্রিয় তারকাকে দেখে। তিনি বলেছেন, ‘‘দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। মারাদোনার সঙ্গে দেখা হওয়াটা আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি।’’ তবে বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষারত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের এড়িয়ে যান তিনি। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিভূত ফুটবল কিংবদন্তি লিখেছেন, ‘‘নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে আমি দারুণ খুশি। আমার ভাল লাগার আরও একটা কারণ, মেক্সিকো থেকেই বিশ্বসেরা হয়েছিলাম। প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।’’ চমকের এখানেই শেষ নয়। আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে বামপন্থী প্রার্থী আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেসকে ভোট দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন মেক্সিকোবাসীর কাছে। তিনি বলেছেন, ‘‘লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো সাধারণ মানুষকে অভুক্ত রাখছে। অথচ প্রত্যেক দিন অস্ত্রের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করছে।’’
শনিবার কুলিয়াকান বিমানবন্দরে মারাদোনাকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন দোরাদোসের প্রেসিডেন্ট জোসে আন্তোনিও নুনেস। সাংবাদিকদের নুনেস বলেছেন, ‘‘মারাদোনার মতো ব্যক্তিত্ব কখনওই অর্থের জন্য দায়িত্ব নেননি। ফুটবলের প্রতি ভালবাসা ও দায়বদ্ধতা থেকেই এসেছেন তিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy