১০২ বছর বয়সী মান কৌর। ছবি: পিটিআই।
বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়েছেন পঞ্জাবের মান কউর। সেঞ্চুরি পার করেছেন বছর দুয়েক আগে। ১০২ বছরের মহিলা এখনও দিব্যি ফিট। এবং দৌড়ের নেশায় পাগল। শুধু দৌড়নোই নয়, লক্ষ্য রয়েছে পদক জেতাতে।
চলতি মাসে স্পেনের মালাগায় ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটারে পেয়েছিলেন সোনা। জ্যাভেলিন ছোঁড়াতেও এসেছিল সোনা। সবই ১০০-১০৪ বছর বয়সীদের গ্রুপে। গত বছর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স গেমসেও ১০০ মিটার দৌড়ে জিতেছিলেন।
এখন শতবর্ষ পার করা ‘নবীনা’ প্রস্তুতি শুরু করেছেন আগামী মার্চে পোল্যান্ডে হতে চলা ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য। সেখানে ৬০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড়ে তিনি অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে সচিনের রেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানি জাডেজার সামনে
আরও পড়ুন: ‘জনগণমন’র পর আজ তেরঙা গায়ে জড়াবেন সেই পাক সমর্থক
মান কউরের ৮০ বছর বয়সী ছেলে গুরদেব সিংহও দৌড়ন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে। পরপর তিন বছরের পরিকল্পনা করেই রেখেছেন মা-ছেলে মিলে। পোল্যান্ডের পর ২০২০ সালে কানাডার টরন্টোয় নামবেন তাঁরা। তারপর ২০২১ সালে পশ্চিম জাপানে হতে চলা প্রতিযোগিতায়। গুরদেব বলেছেন, “২০২১ সালে মায়ের বয়স হবে ১০৫ বছরেরও বেশি। আমরা সেই ইভেন্টের অপেক্ষায় রয়েছি এখন থেকেই।”
সংবাদসংস্থাকে মান কউর বলেছেন, “আমি আরও জিততে চাই। জিতলে খুব তৃপ্তি পাই। সরকার আমাকে কোনও কিছুই দেয়নি। কিন্তু আমি শুধু দৌড়তে চাই। কারণ দৌড়েই আনন্দ পাই।” পরবর্তী প্রজন্মকে তাঁর পরামর্শ, “জাঙ্ক ফুড খেয়ো না। ঠিকঠাক খাও, ব্যায়াম করো। বয়স্কদের সম্মান দাও।” তিনি নিজেও সতর্ক খাওয়ার ব্যাপারে। ছ’টা রুটি, ছানা, মরসুমি ফল, বার্লি, সোয়া মিল্ক খান নিয়ম করে।
চোখ কপালে তোলার মতোই ট্রেনিং শিডিউল তাঁর। প্রতিদিন ১০০ মিটার দৌড়ন দু’বার করে । তারপর ৩০ মিটার দৌড়ন চারবার। শেষে ধীরে ধীরে দৌড়ন ২০০ মিটার। দৌড়নোকে ভাল না বাসলে যা সম্ভবই না!
(ক্রিকেটারদের ইন্টারভিউ, ফুটবলারদের ইন্টারভিউ, অ্যাথলিটদের লড়াইয়ের গল্প - ক্রীড়াজগতের সব খবর আমাদের খেলা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy