লক্ষ্যপূরণ: ওয়ান ডে সিরিজ জয়ের ট্রফি হাতে ঝুলন ও মিতালি। ছবি :টুইটার।
মেয়েদের ক্রিকেটে এই মাইলফলক গড়তে পারেননি অন্য কেউ। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ২০০ ম্যাচ খেলাটা তাই মিতালি রাজের ক্রিকেট জীবনের সব চেয়ে বড় নজির হয়ে থাকার কথা। কিন্তু তিনি নিজে তা মনে করেন না। দু’দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থাকা এই তারকার কাছে দু’শো নিছক সংখ্যা ছাড়া কিছু না।
বৃহস্পতিবার হ্যামিল্টনের যে সেডন পার্কে ২০০তম ওয়ান ডে খেলেন রোহিত শর্মা, শুক্রবার সেই মাঠেই একই মাইলফলক গড়লেন মিতালি। আর রোহিতের মতো তাঁরও এই বিশেষ ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে থাকল না। আট উইকেটে হারল ভারত। সিরিজ অবশ্য মিতালিরাই জিতলেন।
কিন্তু নিজের দু’শো ম্যাচ খেলার আনন্দের থেকে সিরিজ ৩-০ জিততে না পারার দুঃখ বেশি মিতালির। বললেন, ‘‘দু’শো ম্যাচ খেলতে পেরে ভাল লাগছে। কিন্তু এটা আমার কাছে বিশাল ব্যাপার নয়। শুধুই একটা সংখ্যা। বরং সিরিজটা ৩-০ জিতলে বেশি ভাল লাগত।’’
ভারতের মেয়েরা প্রথমে ব্যাট করে ১৪৯ রানে অল আউট হয়ে গেলে সেই রান নিউজ়িল্যান্ড তুলে নেয় ২৯.২ ওভারেই, দুই উইকেটে। এ দিন ভারতের দীপ্তি শর্মা ৫২ রান করলেও তা করেন অত্যন্ত ধীরগতিতে, ৯০ বলে। সুজ়ি বেটস্ (৫৭) ও এমি স্যাটার্থওয়েট (৬৬) জয়ের রান অনায়াসে তুলে নেন।
কুড়ি বছর আগে ১৬ বছর বয়সি যে মেয়েটি স্কুলে পড়ার সঙ্গে ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিল, সেই মিতালি তাঁর নজির গড়ার দিনে বললেন, ‘‘সারা বিশ্বে মেয়েদের ক্রিকেটে যে বহুল পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তন দেখেছি। আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেট কাউন্সিলের শাসন থেকে আইসিসি-র অধীনস্থ হওয়ার পরে প্রচুর বদল এসেছে। এত দিন ধরে দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতে পারাটাই আমার কাছে খুশির ব্যাপার।’’
মিল্টন কেইনসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জীবনের প্রথম ওয়ান ডে খেলার পরে যে এত দিন দেশের জার্সি গায়ে খেলবেন, তা ভাবতেই পারেননি মিতালি। তার উপর মেয়েদের ক্রিকেট দুনিয়ায় ওয়া ডে-তে তিনিই সব চেয়ে বেশি রান (৬৬২২) করেছেন। মিতালির কথা, ‘‘সত্যিই ভাবিনি, এত দিন দেশের হয়ে খেলব। প্রথমে দেশের জার্সি পরা ছিল লক্ষ্য। সঙ্গে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠার চেষ্টা করতাম। কিন্তু এত দিন খেলার কথা ভাবিইনি ।’’
ক্রিকেটজীবনে বহু ঝড়ঝাপ্টা সামলেছেন। সম্প্রতি তাঁর ও মেয়েদের দলের প্রাক্তন কোচ রমেশ পওয়ারের মধ্যে মতান্তর নিয়ে সারা দেশে যে বিতর্ক তৈরি হয় সেটাও উতরে গিয়েছেন। যা মিতালি নিয়ে বলেন, ‘‘দীর্ঘ ক্রিকেটজীবনে বিভিন্ন ধরনের আনন্দ, ওঠা-পড়া আসা স্বাভাবিক। কিন্তু বিভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও সেই অনুযায়ী খেলার দিকে বেশি জোর দিয়েছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মান অনুযায়ী নিজেকে তৈরি রাখার চেষ্টা করেছি সব সময়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy