Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আমনাই প্রধান, মত শিল্টনের

ডার্বির আগে দুই প্রধানেই কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোচ যাঁকে মনে করছেন তাঁকেই পাঠানো হচ্ছে মিডিয়ার সামনে। খালিদ জামিল সে পথে না হাঁটলেও শঙ্করলাল চক্রবর্তী পাঠিয়েছিলেন ঘরের ছেলে হয়ে যাওয়া টিমের সবথেকে অভিজ্ঞ শিল্টনকে।

শিল্টন পাল।

শিল্টন পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১৫
Share: Save:

মাঠ জুড়ে খেলা আল আমনাই ইস্টবেঙ্গলের সবথেকে সেরা অস্ত্র মনে করেন শিল্টন পাল। মোহনবাগান গোলকিপার বৃহস্পতিবার বলে দিলেন, ‘‘আমনার উপর আমাদের নজর থাকবে। ওই ইস্টবেঙ্গলের আসল শক্তি। ওকে কিছুতেই খেলতে দেওয়া যাবে না।’’

ডার্বির আগে দুই প্রধানেই কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোচ যাঁকে মনে করছেন তাঁকেই পাঠানো হচ্ছে মিডিয়ার সামনে। খালিদ জামিল সে পথে না হাঁটলেও শঙ্করলাল চক্রবর্তী পাঠিয়েছিলেন ঘরের ছেলে হয়ে যাওয়া টিমের সবথেকে অভিজ্ঞ শিল্টনকে। শৈলেন মান্না, চুনী গোস্বামী, সুব্রত ভট্টাচার্য এবং সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পথে হেঁটে শিল্টনও টানা বারো বছর খেলছেন সবুজ-মেরুন জার্সিতে। রবিবার যাঁরা শিলিগুড়িতে মোহনবাগান জার্সি পরে ডার্বি খেলবেন তাদের মধ্যে শিল্টন ছাড়া কেউই কলকাতা লিগ জেতার স্বাদ পাননি। তেরো বছর পর আই লিগ জিতলেও, টানা সাত বার কলকাতা লিগ জিতে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বলা যায় এই খেতাবটা লাল-হলুদের সম্পত্তির মতো হয়ে গিয়েছে। সেটা আটকাতে এ বার মরিয়া মোহনবাগান। শিল্টন বলছিলেন, ‘‘আমি দু’বার কলকাতা লিগ জিতেছি। বহুদিন সেই মজাটা পাইনি। সেটা পেতে চাইছি। অন্যরাও লিগটা জেতার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।’’

মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে ফুটবলারদের বুঝিয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে অনুশীলন করেই শিলিগুড়ির বিমান ধরতে যাবেন কামো-ক্রোমারা। এ দিনও আজহারউদ্দিন মল্লিক, শিল্টন দ্য সিলভা ছাড়া সবাই অনুশীলন করেছেন। দুই মাঠের অনুশীলনেই সেট পিস এবং সিচুয়েশনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আজহার ও শিল্টন ডি সিলভারা অবশ্য দু’জনেই যাবেন ডার্বিতে। সেরকমই খবর। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দু’দল পয়েন্টের বিচারে এখন একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে আছেন উইলস প্লাজারা। ফলে ম্যাচটা কিংশুক দেবনাথ-কিংসলেদের জিততেই হবে। শিল্টন মানছেন, ‘‘লিগ টেবলের যা অবস্থা তাতে ইস্টবেঙ্গল তো এগিয়ে আছে। ওরা ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন। এটা তো সুবিধাজনক অবস্থাই।’’ পাশাপাশি অভিজ্ঞ কিপারের মন্তব্য, ‘‘ওদের কোনও চাপ নেই। আমাদের জেতার চাপ তো আছেই। আমরা সে ভাবেই তৈরি হচ্ছি।’’

শিলিগুড়িতে মোহনবাগান জেতে না এই মিথ ভেঙে গিয়েছে গত বছরই। লাল-হলুদের দ্বিতীয় শহরে খেলতে যাওয়ার আগে তাই শিল্টনের মন্তব্য, ‘‘কলকাতায় আমাদের মাঠে এ বার প্রচুর দর্শক খেলা দেখতে এসেছেন। আশা করব শিলিগুড়িতেও সে রকম হবে। গত বছর আই লিগেই তো দেখলাম ওঁরা এসেছেন। কারণ কলকাতা লিগ জিতলে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সেটা কাজে লাগবে আই লিগে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE