মোহনবাগানে সচিব বনাম ক্লাবের কর্মসমিতির পদত্যাগী সদস্যদের ধুন্ধুমার লড়াই শুরু হয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে কার্যকরী কমিটির সভায় তা নিয়ে ঝড় ওঠার সম্ভাবনা প্রবল।
৪৮ ঘণ্টা আগে কর্মসমিতির ১৪ জন সদস্য পদত্যাগ করার পরে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন সচিব চাপে পড়ে গিয়েছেন। কিন্তু হল ঠিক তার উল্টো। কর্মসমিতির সভা ডেকে মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র বুধবার বলে দিলেন, ‘‘শুক্রবার কর্মসমিতির সভা ডেকেছি। সেখানেই বোঝা যাবে কে কোথায় আছেন। কী হচ্ছে। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই এগোচ্ছি।’’ বিদেশ থেকে সে দিনই ফেরার কথা ক্লাবের পদত্যাগী সভাপতির। তিনি ফিরলে কী হবে তা নিয়ে ক্লাব তাঁবু উত্তাল।
কী আলোচনা হতে পারে কর্মসমিতির সেই বৈঠকে, সে ব্যাপারে সচিব কোনও আভাস না দিলেও সূত্রের খবর, সেখানেও নয়া চাল দিতে চলেছেন অঞ্জনবাবু। যার মধ্যে অন্যতম সহ-সভাপতি নির্বাচন। যা গত তিন বছরে হয়নি। সচিব অনুগামীদের দাবি, সমাজের বেশ কয়েক জন প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম এই পদের জন্য উঠতে পারে। এ ছাড়াও, যে সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের সবার চিঠি গৃহীত হবে কি না তা নিয়েও আলোচনা হবে।
তিন বছর আগে ১৭ মে শেষ নির্বাচন হয়েছিল মোহনবাগানে। ফলে নির্বাচন আসন্ন। তাই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হবে সভায়। পাশাপাশি, নতুন মরসুমে ফুটবল দল চালানোর জন্য টাকা কী ভাবে জোগাড় করা হবে সে ব্যাপারেও সকলের বক্তব্য শোনা হবে।
এ দিকে, বুধবার দুপুরে মোহনবাগানের পদত্যাগী কর্মসমিতির সদস্যেরা একযোগে কলকাতা ক্রীড়া-সাংবাদিক তাঁবুতে প্রচারমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা নানা তথ্য তুলে ধরেন। জানা যায়, কর্মসমিতির নির্বাচিত ও আমন্ত্রিত সদস্য সংখ্যা ছিল ৩১। তার মধ্যে ১৯ জনই পদত্যাগ করেছেন। তাঁদের দাবি, আরও বেশ কয়েকজন নাকি পদত্যাগের জন্য তৈরি। পদত্যাগী ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘১৯৮৬ সাল থেকে মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছি। ফুটবলারদের গত মরসুমের বেতন বকেয়া। চলতি মরসুমের দল গঠনের খরচ ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত জানতে সচিবের বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তাই সরে দাঁড়িয়েছি।’’ তাঁর পাশে বসে পদত্যাগী অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘ফুটবলারদের টাকা দিতে না পারলে কিন্তু ক্লাব বিপদে পড়বে। আমরা সেটা চাই না।’’ যা শুনে হেসেছেন অঞ্জন মিত্র। বলে দেন, ‘‘সভাটা হতে দিন। সব উত্তর পেয়ে যাবেন।’’ এরই মধ্যে হঠাৎই ক্লাব তাঁবুতে হাজির হন মোহনবাগানের আর এক ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য। তাঁকে অবশ্য চুনী গোস্বামীর মতো সচিবের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শোনা যায়নি এখনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy