প্রথম বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে ট্রফি হাতে ওসাকা। এএফপি
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে সেরিনা উইলিয়ামসকে স্ট্রেট সেটে (৬-২, ৬-৪) হারিয়ে জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে শিরোনামে তিনি। নিউ ইয়র্কের লড়াই শুধু কোর্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না নেয়োমি ওসাকার। শুরু থেকেই দর্শকদের প্রবল বিদ্রুপের মুখে পড়েছিলেন ২০ বছর বয়সি টেনিসের নতুন তারা।
লিয়োনার্দো ও তামাকির সন্তান নেয়োমির জন্ম ১৯৯৭ সালের ১৬ অক্টোবর জাপানের ওসাকায়। মা জাপানের নাগরিক হলেও নতুন টেনিস তারকার বাবার জন্ম হাইতিতে। নিউ ইয়র্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আলাপ হয় দু’জনের। তার পরে বিয়ে। মার্কিন মুলুক ছেড়ে জাপানে চলে গিয়েছিলেন লিয়োনার্দো ও তামাকি। যখন ফিরলেন, নেয়োমির বয়স তখন তিন। তবে এ বার আর নিউ ইয়র্ক নয়। ফ্লোরিডায় পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করলেন তারা। ২০১৩ সালে পেশাদার টেনিস জগতে পা রাখেন। পরের বছর ব্যাঙ্ক অব ওয়েস্ট ক্লাসিকের প্রথম রাউন্ডেই ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন সামান্থা তোসুরকে হারিয়ে অঘটন ঘটান নেয়োমি। কিন্তু টেনসি বিশ্ব আলোড়ন ফেললেন ২০১৬ সালে। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে যখন সার্ভ করেছিলেন অষ্টাদশী। তবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছিল নেয়োমির। অবশেষে রবিবার সেই আক্ষেপ মিটল।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতে উচ্ছ্বসিত নেয়োমি কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে সেরিনার বিরুদ্ধে খেলার স্বপ্নই এত দিন দেখতাম।’’ এখানেই শেষ নয়। প্রিয় তারকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নেয়োমি বলেছেন, ‘‘ধন্যবাদ, তোমার বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাওয়ার জন্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy