২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে অভিষেক সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন একটি ছেলে। তখন তাঁর প্রশংসা শোনা গিয়েছিল স্বয়ং রাহুল দ্রাবিরের মুখেও। তাঁর টেকনিকের প্রশংসা করেছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তিনি কর্নাটকের ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল। তার পর মাঝে অনেকটা সময়। আবার জাতীয় দলে সুযোগ। এবার ওয়ানডে। প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১১৫ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস। ছক্কা মেরে দেশকে জেতানো। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৩ রানে আউট। তৃতীয় ম্যাচে আবার ঘুরে দাঁড়ানো। ৭০ বলে অপরাজিত ৬৩।
ভারতের ক্রিকেট দলের ওপেনিং জুটিকে কি তাহলে নেতৃত্ব দিতে চলে এলেন তিনি? লোকেশ রাহুলের ব্যাটে তিন ম্যাচের সিরিজ সহজেই উতরে গিয়েছে ভারত। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন শেষ ম্যাচে নবাগত ফয়েজ ফজল। অভিষেকেই হাফ সেঞ্চুরি এসেছে তাঁর ব্যাটে। এই দল কি ভবিষ্যতের পথ দেখাবে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
লোকেশ রাহুল বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয় লোকের কথায় কান না দেওয়া। তবে কোচ ও সিনিয়রদের কথা শুনতে হবে। তার মানে এই নয় যে সব সময় সবটা শোনা সম্ভব। তুমি নিজেকে সব থেকে বেশি চেনো। নিজের খেলা সম্পর্কে জানো। মাঠে গিয়ে নিজের খেলাটাই খেলতে হয়। যদি কেউ বলে তোমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়, সেটাকে ভুল প্রমাণ কর।’’
প্রথম ভারতীয় হিসেবে অভিষেক ওয়ানডেতেই সেঞ্চুরি করে ফেলে ঢুকে পড়েছেন রেকর্ডবুকে। বিশ্ব ক্রিকেটে তিনি ১১ নম্বরে। টুর্নামেন্টের সেরাও বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। রাহুল বলেন, ‘‘আমি নিজের দুর্বলতা কাটাতে অনেক খেটেছি। ফিটনেস সবার আগে দরকার ছিল। কারণ ওয়ানডে ও টি২০তে অনেক বেশি দৌড়তে হয়। এটা তো ঠিক যদি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংটাও স্ট্রং হয় তা হলে দলে বাড়তি গুরুত্ব পাওয়া যায়। অধিনায়করা সব সময় ভাল ফিল্ডারদের পছন্দ করেন।’’ সঙ্গে উইকেট কিপিংটাও লোকেশ রাহুলের দখলে। সব মিলে ভারতীয় দলে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছেন লোকেশ রাহুল। এই সিরিজে ভারতের জয়ের পিছনে অবশ্য ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। বলেন, ‘‘আমার মনে এই জয়ের পিছনে বোলারদের অনেকটাই ভূমিকা রয়েছে। উইকেটও বোলারদের সাহায্য করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওরা ডেলিভার করেছে।’’
আরও খবর
দেশের জার্সি পাওয়ার খবরে হঠাত্ বদলে গেল ফজলের হতাশ পৃথিবী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy