নবরূপে: গল্ফ নিয়ে মাতলেন কালিস, জনসন। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে গত বারের আইপিএলে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন ম্যাচের নায়ক। ২৯ বলে ৫০ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জিতিয়েছিলেন নীতীশ রানা। কিন্তু এ বার নিলামে মুম্বইয়ের থেকে ৩.৪ কোটি টাকায় তাঁকে ছিনিয়ে নেয় কেকেআর। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ছিলেন নাইট কোচ জাক কালিস।
এ বার আইপিএলের প্রথম ম্যাচ থেকেই নিয়মিত দলে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে নীতীশকে নিশ্চিত করেছিলেন কালিস। দিল্লির বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের প্রতি নাইট গুরুর আস্থাই হয়তো ২০১৮ আইপিএলে কেকেআরের আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার কলকাতার একটি গল্ফ ক্লাবে ‘নাইট গল্ফ’ অনুষ্ঠানে এসে সে কথাই জানালেন নাইটদের কোচ। কালিস বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে অসাধারণ ম্যাচ জিতিয়েছিল নীতীশ। সে ম্যাচ থেকেই ও আমাদের নজরে ছিল। কেকেআরে আসার পরে ওকে বলা হয়েছিল প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে ভেবো না। নিজের সেরাটা দাও। ওর প্রতি একশো শতাংশ আস্থা রেখেছিলাম, তার ফল কিন্তু আমরা পাচ্ছি। ’’
নীতীশের পরেই দলের দুই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার শিবম মাভি ও শুভমান গিলের প্রশংসা করতে দেখা গেল কালিস ও সাইমন ক্যাটিচকে। বলে দিলেন, ‘‘অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ছাড়া আইপিএলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। ওরা অভিজ্ঞ নয় ঠিকই, কিন্তু এতটাই দক্ষ যে প্রথম একাদশে ভালই মানিয়ে নিয়েছে।’’
অস্ট্রেলীয় পেসার মিচেল স্টার্কের পরিবর্তে কেকেআরের হয়ে খেলছেন ইংল্যান্ডের বোলিং অলরাউন্ডার টম কারেন। অথচ একটি ম্যাচেও সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি তিনি। কারেনের ব্যাখ্যা, ‘‘আমি যেখানে থাকি, তার সঙ্গে এই পরিবেশের কোনও মিল নেই। এখানে প্রচণ্ড গরম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত ম্যাচে ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না। আমার আউটটা দেখলেই বুঝতে পারবেন। কিন্তু ইডেনের দর্শক আমার খুবই প্রিয় হয়ে উঠেছে।’’
কেকেআরের পরের ম্যাচ দিল্লির বিরুদ্ধে ২৭ এপ্রিল। তার আগে দল সাজিয়ে জয়ের ছন্দে ফিরতে চাইছেন নাইট কোচ কালিস। বলেন, ‘‘প্রথম ছ’টি ম্যাচের মধ্যে প্রত্যেকটাই আমরা জিততে পারতাম। আমরা ভাল খেলেছি। দিল্লির বিরুদ্ধে নামার আগে দল গুছিয়ে জয়ের ধারায়
ফিরতে চাইছি।’’
প্রতি বারের মতো এ বারও ‘নাইট গল্ফ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতার একটি গল্ফ ক্লাবে। সকালেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন কালিস, সাইমন ক্যাটিচ, মিচেল জনসন, টম কারেনরা। ক্রিকেটের পাশাপাশি গল্ফেও তিনি পারদর্শী তা অনায়াসেই প্রমাণ করে দিলেন কালিস। বিকেলে গল্ফ কোর্সে আসেন দীনেশ কার্তিক, কুলদীপ যাদব, রবিন উথাপ্পারা। প্রায় ব্যাটের মতোই গল্ফের ক্লাবটি ধরেছিলেন কুলদীপ। যা দেখে হাসতে শুরু করেন উথাপ্পা। পরে নিজেই সতীর্থকে ক্লাব ধরা শিখিয়ে দিলেন দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য
সদস্য রবিন।
তার আগে অবশ্য কুলদীপরা গিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে। সেখানে অসুস্থ শিশুদের সই করা ব্যাট উপহার দেন কেকেআর ক্রিকেটারেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy