ছবি উৎপল সরকার
পীযূষ চাওলা আউট হওয়ার আগেই তাঁর চোখে জল! ইডেনের জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে উঠল সেই দৃশ্য। কয়েক সেকেন্ড পরে টিভিতেও। কেকেআর মালকিন কি তখন হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন? ‘‘আরে না না। উত্তেজনায় চোখে জল এসে গিয়েছিল। হাল ছাড়ব কোন দুঃখে? আমাদের দলের ছেলেরা যে পারবে, সেটা তো জানতাম,’’ বলতে বলতে ইডেন থেকে বেরোচ্ছিলেন জুহি চাওলা। মুখে সেই চিরপরিচিত মনভরানো হাসি। কথায় তেমনই সহজ সারল্য। বললেন, ‘‘যখন আমাদের শেষ পাঁচ ওভারে পঞ্চাশ রান মতো (৪৮) দরকার ছিল, তখন থেকেই আমাদের বক্সে সকলকে বলে আসছি, আমাদের ছেলেরা যে ফর্মে আছে, তাতে এটা ওদের কাছে কোনও ব্যাপারই নয়।’’
আজ না হয় তিনি গ্যালারিতে ছিলেন। এত দিন তিনি বা শাহরুখ খান— কেউই ছিলেন না। তা সত্ত্বেও পরপর ম্যাচ জিতেছেন গৌতম গম্ভীর ও তাঁর দল।
গম্ভীরদের এই সুখের দিনে তাঁরা নেই কেন? জুহি এ বার যেন একটু সিরিয়াস, ‘‘আসলে শাহরুখ, আমি দু’জনেই নিজেদের কাজে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। শাহরুখের বোধহয় ফিল্ম শুটিং চলছে। আমিও একটা শুটিংয়ে ছিলাম। সে সব মিটতেই দৌড়ে এসেছি ইডেনে। শাহরুখও অবশ্যই আসবে ফাইনালে। দেখুন না, ২৪ মে একেবারে বলিউডের দলবল নিয়ে চলে আসতে পারি আমরা।’’
দল ফাইনালে উঠছে ধরেই নিয়েছেন নাইটদের অন্যতম কর্ণধার? চার দিক দেখে নিয়ে চুপি চুপি বললেন, ‘‘এর মধ্যে আবার ফিক্সিং-টিক্সিংয়ের গন্ধ পাবেন না যেন! এটা আসলে আমাদের প্রবল আত্মবিশ্বাস। আমাদের প্লেয়ারদের জিজ্ঞেস করুন, ওরাও হয়তো একই কথা বলবে।’’ অটোগ্রাফ ও সেলফির আব্দার মেটাতে মেটাতে যোগ করেন, ‘‘এই যে জিজ্ঞাসা করছিলেন না, আমি আর শাহরুখ আসছি না কেন? এই টিমটার যা স্পিরিট, তাতে আমাদের গ্যালারিতে থেকে মোটিভেট করার দরকারই নেই। বরং এখন ওদের দেখেই আমরা উদ্বুদ্ধ হতে পারি। কী লড়াই-ই না করছে ছেলেগুলো!’’
সাদা টি-শার্ট ও ঘি রঙা ট্রাউজারে চিরসবুজ জুহি তখন অধীর আগ্রহে গাড়ির অপেক্ষায়, মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন বলে। বলছিলেন, ‘‘টিমের এ রকম অসাধারণ জয়ের পর পুজো দিতে যেতেই হবে। সে জন্যই তাড়াহুড়ো করছি। এ বার আসি। কপালে থাকলে ফাইনালের দিন দেখা হবে।’’
ঈশ্বরের কাছে সেই প্রার্থনা করতেই বোধহয় ইডেন থেকে সোজা রওনা হয়ে গেলেন কালীঘাটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy