Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সংগঠকেরা কোথায়, ক্ষোভ সৌম্যজিতের

এ বছর শিলিগুড়ির বাসিন্দা সৌম্যজিৎ ঘোষ অর্জুন পুরস্কার পেলেও অর্জুন মান্তু ঘোষ বা ভাইচুং ভুটিয়ারা তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা বা দেখা করে অভিনন্দন জানাননি বলে হতাশ তাঁর পরিবার এবং পরিচিতেরা। নর্থবেঙ্গল বোর্ড ফর ডেভেলপমেন্ট অব স্পোর্টস অ্যান্ড গেমসের চেয়ারম্যান ভাইচুং ভুটিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মান্তু ঘোষ। মান্তু নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্মকর্তা। অথচ উত্তরবঙ্গের স্পোর্টস বোর্ডের তরফে কেউ ফোন করেও সৌম্যজিৎকে অভিনন্দন জানায়নি বলে অভিযোগ।

ওয়ার্ডের তরফে সৌম্যজিৎকে সংবর্ধনা। নিজস্ব চিত্র।

ওয়ার্ডের তরফে সৌম্যজিৎকে সংবর্ধনা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪৩
Share: Save:

এ বছর শিলিগুড়ির বাসিন্দা সৌম্যজিৎ ঘোষ অর্জুন পুরস্কার পেলেও অর্জুন মান্তু ঘোষ বা ভাইচুং ভুটিয়ারা তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা বা দেখা করে অভিনন্দন জানাননি বলে হতাশ তাঁর পরিবার এবং পরিচিতেরা। নর্থবেঙ্গল বোর্ড ফর ডেভেলপমেন্ট অব স্পোর্টস অ্যান্ড গেমসের চেয়ারম্যান ভাইচুং ভুটিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মান্তু ঘোষ। মান্তু নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্মকর্তা। অথচ উত্তরবঙ্গের স্পোর্টস বোর্ডের তরফে কেউ ফোন করেও সৌম্যজিৎকে অভিনন্দন জানায়নি বলে অভিযোগ।

বাগডোগরা বিমানবন্দরে নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে দুই প্রতিনিধি গিয়ে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। শহরের ক্রীড়া সংগঠক বা খেলোয়াড়রা কার্যত ছিলেন না।

সৌম্যজিতের বাবা হরিশঙ্করবাবু বলেন, ‘‘ভাইচুং, মান্তু ঘোষরা উত্তরবঙ্গে খেলাধূলার দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁরা ছেলেকে শুভেচ্ছা জানাবে আশা করেছিলাম।’’ তাঁর আক্ষেপ, ‘‘মান্তু, শুভজিৎ সাহা অর্জুন হওয়ার পর যে ভাবে সকলে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন সেই প্রত্যাশা ছিল। আমাদের কপালে নেই বলেই হয়তো ও পেল না। তাই মন খারাপ লাগছে।’’ সৌম্যজিৎদের বাড়ির লাগোয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজয় ঘটক বলেন, ‘‘ওঁ শহরের গর্ব। এলাকার সবক্ষেত্রের তারকাদের কাছেই সমাদর ওঁর প্রাপ্য।’’

শিলিগুড়িতে টেবল টেনিস খেলা হয় যে ক্লাবগুলিতে তাদের কর্মকর্তাদের অধিকাংশ এ ব্যাপারে উৎসাহী হননি কেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপ রতন ঘোষও শুভেচ্ছা জানাননি। ক্রীড়া পরিষদের প্রতিনিধি গিয়ে পুরসভার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অভিনন্দন জানান। মান্তু ঘোষ বলেন, ‘‘সংগঠনের তরফে প্রতিনিধি পাঠিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। তবে ফোন করা হয়নি বা ও অর্জুন নিয়ে ফেরার পর দেখা হয়নি। তবে অর্জুন পুরস্কার ঘোষণার পরে ওর পরিবারকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। স্পোর্টস বোর্ডের তরফে মদন ভট্টাচার্য সৌম্যজিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন।’’ মদনবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদের তরফে এবং ব্যক্তিগত ভাবেই তিনি সৌম্যজিতের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, ফুল, স্মারক উপহার দিয়েছেন। ভাইচুং ভুটিয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে বারবার ফোন বেজে গিয়েছে।

মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপবাবু বলেন, ‘‘ও শহরের গর্ব। কবে ও শহরে ফিরবে তা আগাম জানা ছিল না। তাই যেতে পারিনি। তবে পরবর্তীতে ওঁর সঙ্গে কথা বলে ক্রীড়া পরিষদের তরফে ঘটা করে সংবর্ধনা জানাব। অনুমোদিত ক্লাবগুলির প্রতিনিধি, লোকজনও সেখানে থাকবেন।’’ শিলিগুড়ির বাসিন্দা অর্জুন শুভজিৎ সাহা অবশ্য জানিয়েছেন, সৌম্যজিৎ অর্জুন পচ্ছে জানার পরেই তিনি ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

uttarbanga sports board
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE