কাহিল: ইডেন ড্রেসিংরুমে বিকল বাতানুকূল যন্ত্র। জলই জীবন ঋদ্ধিমানদের। শুক্রবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
শুক্রবার দুপুরে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার মধ্যেই ম্যাচ চলছিল ইডেন ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে। সিএবি প্রথম ডিভিশন সিনিয়র ওয়ান ডে চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনাল।
ইডেনে আনন্দবাজার পত্রিকা স্পোর্টস ক্লাবকে তিন উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে কালীঘাট। প্রথমে ব্যাট করে আনন্দবাজার করে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান। যা আট ওভার বাকি থাকতেই তুলে দেয় কালীঘাট। ৮১ রান করেন কালীঘাটের শুভম চট্টোপাধ্যায়। সল্টলেক ক্যাম্পাসে ইস্টার্ন রেলকে পাঁচ উইকেটে হারায় মোহনবাগান। সে ম্যাচে ১৬৩ রানে শেষ হয়ে যায় ইস্টার্ন রেল। ৩৪.১ ওভারে তা তুলে দেয় মোহনবাগান। কিন্তু দু’টি মাঠেই চরম অব্যবস্থার মধ্যে পড়ে চারটি দল। ইডেনের ড্রেসিংরুমে দুপুর পর্যন্ত চলছিল না এসি। ক্রিকেটারদের জন্য ছিল না কোনও তোয়ালে। একেই তো এই তীব্র গরমের মধ্যে খেলা হচ্ছে। তার উপর প্রাথমিক সরঞ্জামটুকুও নেই।
প্রথম ডিভিশনের খেলা মানেই দু’টি দলে বর্তমান ও প্রাক্তন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারেরা খেলেন। ইডেনে যেমন ঋদ্ধিমান সাহার মতো জাতীয় দলের ক্রিকেটার খেলছিলেন। এসি সারানোর জন্য অথবা তোয়ালে বার করে দেওয়ার জন্য কোনও কর্মীও ছিলেন না। ঋদ্ধিমান স্নান করেন সতীর্থের তোয়ালে ধার করে। ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ ঋদ্ধি বলেন, ‘‘ইডেনে ম্যাচ খেলতে এলে বাড়ি থেকে তোয়ালে নিয়ে আসি না। জানি ইডেনেই সব পাওয়া যাবে। কিন্তু আজ বিষয়টি দেখে কিছুটা অবাক হয়েছি। তার উপর আমাদের ড্রেসিংরুমের এসিও দুপুর পর্যন্ত কাজ করছিল না।’’
এ দিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠের অবস্থা আরও শোচনীয়। মোহনবাগান বনাম ইস্টার্ন রেল ম্যাচে মোহনবাগানের ড্রেসিংরুমের এসি খারাপ হয়ে যায়। তিনটি এসির মধ্যে মাত্র একটি যন্ত্র কোনও রকমে চলছিল। মেরামত করার কিছুক্ষণ পরেও আবার একই অবস্থা। বাথরুমেও জলের ব্যবস্থা ছিল না। মোহনবাগান কোচ শুভময় দাস বলছিলেন, ‘‘দু’টি মাঠে এত বড় ম্যাচ চলছে। অথচ অব্যবস্থার চূড়ান্ত।’’
সিএবি যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়াকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘টেকনিক্যাল কিছু সমস্যার জন্যই এই অব্যবস্থা। আমরা আজই এসি মেরামত কর্মী দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আশা করছি, আগামী দু’দিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান করে ফেলা যাবে।’’ সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও আইপিএলের সময় বাইরে বাইরেই থাকছেন। তিনি ব্যস্ত দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy